সাংবাদিকের নয়, রাষ্ট্রের হাতে হাতকড়া: রব

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব

সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব

৫৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেয়ার নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, সাংবাদিকের নয়, রাষ্ট্রের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন আ স ম আব্দুর রব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ৫৪দিন নিখোঁজ থাকার পর একজন নাগরিকের শারীরিক ও মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় রাষ্ট্রীয় নির্মম আচরণ প্রমাণ করেছে সাংবাদিকের নয়—রাষ্ট্রের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। একজন নাগরিকের নিখোঁজ হওয়া, অপহরণের শিকার হওয়া রাষ্ট্রের দায়। কিন্ত রাষ্ট্র সে দায় বহন না করে নাগরিককে অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করার প্রয়াস কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে কারা সীমান্তের ওপারে নিয়ে গেল? কোথায় রাখল? কী ধরনের নির্যাতন সইতে হয়েছে তাকে— তার কোন তদন্ত না করে নিজ বাসভূমিতে ফিরে আসায় অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গ্রেফতার এবং পিঠমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে সশস্ত্র পাহারায় আদালতে নেয়ার দৃশ্য ঔপনিবেশিক চরিত্রের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। এটা কোন স্বাধীন দেশের চরিত্র হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবি জানান আ স ম আব্দুর রব। দাবিগুলো হলো—
১. শফিকুল ইসলাম কাজলসহ অপহরণ/নিখোঁজ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
২. যারা মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত একজন নাগরিকের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩. অপহরণের ৫৪ দিন পর মুক্তি পাওয়া একজন সাংবাদিক রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কতটুকু হুমকি যে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা জরুরি ছিলো, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অর্থ্যাৎ নির্বতনমূলক এই কালো আইন বাতিল করতে হবে ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।