দুর্যোগ মোকাবিলার যেকোনো উদ্যোগে শামিল হতে বিএনপি প্রস্তুত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট জাতীয় ও বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ মোকাবিলার যেকোনো উদ্যোগে শামিল হতে বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভার সূচনা বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ করোনাভাইরাস সংক্রামণকে জাতীয় দুযোর্গ ঘোষণা করে তা মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ থেকে সচেতনভাবে কাজ করছি, ভেতরের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। আজকে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে- এটা একেবারেই খুবই অপ্রতুল। আমরা জেনেছি যে, ৪০ হাজার লোকের মধ্যে ত্রাণ মাত্র ৩‘শ লোকের মধ্যে দেওয়া হয় এবং সেটাও দলীয়করণ করা হয়েছে পুরোপুরিভাবে।

তিনি বলেন, এগুলো থেকে ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে করোনা মোকাবিলা কোনোভাবেই সম্ভব না। সবচেয়ে ভয়াবহ দিন আসছে সামনের দিনগুলোতে। আপনারা সবাই একমত হবেন আমরা সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমকে সামনে রেখে, সততাকে সামনে রেখে যদি হ্যান্ডেল না করি তাহলে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বো, অনেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছেন।

মহাসচিব বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় যেকোনো উদ্যোগে শামিল হতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দম্ভ, অহংকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অবশ্যই সরকারকেই। কারণ পুরো দায়িত্বটা সরকারের।

ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর রহমতে এই মহাদুর্যোগ মোকাবিল করতে সক্ষম হবো।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি দলীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। দলের প্রস্তাবনার একটি কপিও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানের মাধ্যমে সভায় হস্তান্তর করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান, বাসদের খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রধান টিপু বিশ্বাস, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাম ঐক্যজোটের আহবায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির (মাকর্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান জোনায়েদ সাকি, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপাতি এম এ সবুর।