দেশে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণার দাবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্কাইপের মাধ্যমে  ‘সর্বদলীয় পরামর্শক সভা’র আয়োজন করা হয়/ছবি: সংগৃহীত

স্কাইপের মাধ্যমে ‘সর্বদলীয় পরামর্শক সভা’র আয়োজন করা হয়/ছবি: সংগৃহীত

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সেগুন বাগিচার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জোটের উদ্যোগে ‘সর্বদলীয় পরামর্শক সভা’ থেকে এই দাবি উত্থাপিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সর্বদলীয় এই পরামর্শক সভায় সরকারি দল আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি, সিপিবি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা স্কাইপের মাধ্যমে এই পরামর্শ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এদের মধ্যে ছিলেন, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান, বাসদের খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রধান টিপু বিশ্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভার সূচনা বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ করোনাভাইরাস সংক্রামণকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে তা মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন।

তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র-যুবকসহ সামাজিক শক্তি, সাংস্কৃতিক সংগঠন, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞদের ঐক্যবদ্ধ করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকলের আকাঙ্ক্ষার অংশ হিসেবেই সমন্বিত উদ্যোগের লক্ষ্যে আজকেরে এই সভা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আজকে এখানে আমাদের সঙ্গে স্কাইপে যুক্ত হয়েছেন। তারা ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা রাখি।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ‘সমন্বিত উদ্যোগ’ ও ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণার দাবির সমর্থন জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জাতীয় দুর্যোগ কমিটি গঠন করতে হবে। সবাইকে নিয়ে, সকল শ্রেণির মানুষকে নিয়ে, ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে, সকল সামাজিক শক্তিসহ সব পেশার মানুষকে নিয়ে এই কমিটি করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।”

তিনি বলেন, একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে না পারলে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি আরও সৃষ্টি হবে। আমি অনুরোধ করবো সরকারসহ সকল মহলকে আসুন আমরা জাতিগতভাবে একত্রিত হই এবং জাতীয় এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলা করি। আমি মনে করি, এখনো সময় আছে সকলকে একত্রিত করার।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই মহাদুর্যোগ একার পক্ষে নয়, ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার। এটা করতে হবে। আমি এখনও আহ্বান জানাব সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা। একাত্তরে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকাল মোকাবিলাও আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সঞ্চালনায় এই পরামর্শ সভায় সিপিবির আবদুল্লাহ কাফী রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির আকবর খান, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরামর্শ সভায় আরও যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাম ঐক্যজোটের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির (মাকর্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান জোনায়েদ সাকি, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপাতি এম এ সবুর।