গরিবের হকের চাল চুরি ঠেকাও: গণসংহতি

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণসংহতি আন্দোলন

গণসংহতি আন্দোলন

গরিবের হকের চাল চুরি ঠেকাতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্বচ্ছ-সুষ্ঠু ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের চাল চুরির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করে তারা বলেন, দেশ যখন মহাদুর্যোগের মধ্যে, দেশের শ্রমজীবী-কর্মহীন-দরিদ্র মানুষ যখন কর্মহীনতার কারণে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে, তখনও সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বরাদ্দের ত্রাণের চাল চুরির ঘটনা ঘটছে।

নেতারা বলেন, পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, এইসব জঘন্য কাজের সাথে জড়িতরা বেশিরভাগই সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি বা তাদের মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা।

গণসংহতির নেতারা তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও এই সরকারের দলীয় নেতা-কর্মীরা লুটপাট করার লোভ সামলাতে পারছে না। অনাহারী মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সামান্য চাল- সেটাও তারা গুদামজাত করতে লজ্জা পাচ্ছে না। পত্র-পত্রিকার খবরে প্রকাশিত হয়েছে- গত ৩০ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত, মাত্র ৯ দিনে ২ হাজার ২৬৪ বস্তা সরকারি চাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

নেতারা আরও বলেন, এই রাষ্ট্রের অধঃপতন আজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে এবং রাষ্ট্রের কোথাও কোন জবাবদিহিতা-স্বচ্ছতা না থাকার কারণে ক্ষমতার জোরে সকল অন্যায্য-অন্যায়-অমানবিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। যার ফলে- রাষ্ট্র হিসেবেই বাংলাদেশ দিনদিন তার ন্যায্যতা হারাচ্ছে।

গণসংহতি’র নেতারা অবিলম্বে চাল চুরির সাথে জড়িত ঘৃণ্য ‘অমানুষ’দের, কঠোর শাস্তি ও তাদের সকল প্রকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল দায়িত্ব থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবি করেন। পাশাপাশি নেতারা ওই সব অসৎ-লুটেরা তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের সামাজিকভাবে বয়কট করতেও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান রুবেল সারাদেশে অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসন ও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সম্মিলিত কমিটি গঠন করে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জোর দাবি জানান।