সদ্য অনুষ্ঠিত রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরে পল্লিনিবাসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের প্রার্থী সাদ এরশাদকে সমর্থন দিয়েছে। এখানকার সবাই জানে জাতীয় পার্টি জিতবে। নৌকা-লাঙল এক থাকায় সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ ছিল না। এ কারণে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়নি।
রংপুরকে জাতীয় পার্টির দুর্গ উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, রংপুর লাঙলের ঘাঁটি। এখানকার মানুষের সমর্থন সবসময় জাতীয় পার্টির প্রতি ছিল। যা এবারের নির্বাচনেও প্রমাণ হয়েছে। যদিও নির্বাচনে আগ্রহ কম থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকরা তো ভোট দিয়েছে।
বর্তমান সরকারের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছি। আমরা মহাজোটে নির্বাচন করার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব।
এ সময় সাদ এরশাদের পক্ষে না থেকে দলের যে সব নেতারা নির্বাচনে বিরোধিতা করেছেন তাদের ব্যাপারে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযারী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান জি এম কাদের।
এ দিকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ বলেন, আমি রংপুরের সবাইকে নিয়ে কাজ করব। দলের চেয়ারম্যান, বিরোধি দলীয় নেতা, প্রধানমন্ত্রীসহ সবার সঙ্গে কথা বলে রংপুরকে এগিয়ে নিতে চাই। আমার আব্বার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সোমবার সকালে রংপুরে তিনদিনের সফরে এসে পল্লীনিবাসে গেলে সাদ এরশাদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দুল বারীসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা জেলা বুড়িচং উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে আপনি সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন বলে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।’ যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নোটিশ পেয়েছি, যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়া হবে।’
বুড়িচং উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন প্রভাব খাঁটিয়ে ১০ ভবনের টেন্ডার একাই নামমাত্র দামে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রদল নেতা মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে জামায়াতের তিন নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাওলানা ওজিবুল্লাহ (৪০), নাঈম আবদুল্লাহ (৩৫) ও আলামিন (৩০)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মসজিদে তর্কের জেরে মিরাজের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে জামায়াতের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
‘বিনা ভোটের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজান উপজেলাকে সারাদেশের মধ্যে বিনা ভোটের মডেলে পরিণত করেছিলেন। রাউজানে কোনো উপজেলা, পৌরসভা কিংবা ইউপি নির্বাচনের কোনো ভোট হয়নি। স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না তিন লাখ ভোটার। তিনি যাকে মনোনয়ন দিতেন তিনিই চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র হতেন। ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে বিনা ভোটে যাতে নির্বাচিত না হতে পারে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটে একটি কনভেনশন হলে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ব ও পরবর্তী রাউজানের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংলাপ’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সংলাপে বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষের ভেতর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে আকাঙ্খা তৈরি করেছে, সেটার সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে কথা হচ্ছে। সেই বন্দোবস্ত হবে গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খাই ছিলো একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু প্রত্যেকটি সরকার মানুষের আকাঙ্খার মূল্য কম দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশটার জন্ম দিলেও তাদের অভিভাবক হতে দেয়া হয়নি। হাজারো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যে সম্ভাাবনা তৈরি হয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে আমরা সবাই মিলে বাস্তবে রূপায়ন করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলন রাউজান উপজেলার সংগঠক মো. মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে ও মো. হাবিবউল্লাহ রাসেলের সঞ্চালনায় গণসংলাপে অংশগ্রহণ করেন গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক নাসির জসি, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, গণসংহতি আন্দোলন উত্তর জেলার সদস্য সচিব জাহেদুল আলম আল জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন চান্দগাঁও থানার আহ্বায়ক ইকবাল মাসুদ, বোয়ালখালী থানার আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তিয়ার প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. আবুল বশর, হাসান মুরাদ শাহ, শিক্ষক মোহাম্মদ খসরু, ইলিয়াস তালুকদার, মোহাম্মদ আরিফ, নাজমুল হাসান আসিফ, রুবেল হোসেন, শুভাশিষ ভট্টাচার্য, স্বপন আচার্য গণসংলাপে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী ও পাঁচলাইশ থানর বিএনপির গবেষণা সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন ঝন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী ও পাঁচলাইশ থানর বিএনপির গবেষণা সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন ঝন্টুকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৭ অক্টোবর পাহাড়তলীর মোহাম্মদ ট্রেডিং নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ চাঁদাবাজি করতে যাওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলী ওরফে কিং আলী এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মামুন আলীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া হাফিজ উদ্দিন ঝন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় বহিষ্কার হয়েছে।