রাষ্ট্র ও জনগণ জামায়াতের হাতে নিরাপদ: সেলিম উদ্দিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে উল্লেখ করে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আমাদের হাতে আসলে জনগণ ও রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে।
তিনি বলেন, জামায়াতের লোকেরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে না। জামায়াতের লোকেরা স্বজনপ্রীতি করে না, রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে না, জামায়াতের প্রত্যেকটি লোক আলাদা আলাদা ব্যবসা ও চাকরি করে। উপার্জিত অর্থ আমরা দলকে দিয়ে থাকি। আমরা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করি না।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় উত্তরা মডেল থানার যুব বিভাগের উদ্যোগে ৭ নম্বর সেক্টরে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জনগণ যদি পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশকে জামায়াতের হাতে তুলে দেয়, তারা দেখবে কেমন বাংলাদেশ হয়-তা আমরা দেখাবো।
জামায়াতের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছি। বেকার সমস্যার সমাধান করেছি। বাংলাদেশে যে রেমিট্যান্স আসে, তার একটা বড় অংশ আমাদের উদ্যোগের কারণে, আমাদের চেষ্টার কারণে আসে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় না গিয়েও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে প্রমাণ করেছি। আমরা সেই পরীক্ষায় ইতোমধ্যে সফল হয়েছি। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান সেলিম উদ্দিন।
ঢাকা মহানগরীর জনগণকে সবধরণের সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা একটি সমৃদ্ধ নগরী চাই। আমরা একটি মানবিক নগরী চাই। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত নগরী চাই। নগরীকে গড়ে তুলতে দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সেলিম উদ্দিন বলেন, নগরীতে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নগরীর অভিভাবক হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নেতৃত্বকে জনগণ গ্রহণ করবে। শুধু সিটি নয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সব নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বকে জনগণ গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বিগত পতিত স্বৈরাচার এমন কোনো কাজ বাকি নাই, যেটা করেনি। রাষ্ট্র থেকে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতাদেরকে- যারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে হত্যা করেছে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর আমির, বাংলাদেশের ইতিহাসে সফল ও দক্ষ মন্ত্রী ছিলেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয় চালিয়ে সফল মন্ত্রণালয় রূপান্তর করেছিলেন- তাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াতের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যত সমাজসেবামূলক কাজ আছে, তা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার যাওয়ার তিনদিন আগে সেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা করেছিল জামায়াতকে নিষিদ্ধ, আর আল্লাহ তায়ালা এই জাতির মাধ্যমে তাদেরকে দেশছাড়া করেছেন। তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
থানা যুব বিভাগের সভাপতি আতিয়ার রহমান আতিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, উত্তরা মডেল থানার আমির অ্যাডভোকেট. মো. ইব্রাহিম খলিল, মডেল থানার নায়েবে আমির হারুন অর রশীদ তারেক, জামায়াত মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী সমাজসেবক জননেতা মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।