আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা চাই: নজরুল ইসলাম খান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা চান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা তাদের সহায়তা করতে চাই। কিন্তু যার যার কাজ তাকে বুঝতে হবে। একটা নির্বাচিত সরকারের কাজ আর একটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ কী সেটাও বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি অত্যন্ত যোগ‍্য মানুষের কাছে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। অত্যন্ত বিজ্ঞ মানুষদের কাছে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘১২ দলীয় জোটের আয়োজনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস গণতন্ত্র উত্তরণে নবদিগন্তের সূচনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই হচ্ছে মূল প্রায়োরিটি। এটা আমাদেরকে মনে রাখতে হবে। জনগণের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানতো করতেই হবে। এটাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। যে যখন ক্ষমতায় থাকবে তারই করতে হবে; এটা তার দায়িত্ব।

বিজ্ঞাপন

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কারের কথা যারা বলেন তার নতুন কিছু বলছেন না। কারণ এই সংস্কার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই সংস্কারের কথা আমরা বহুবার বলেছি। এই সংস্কার এইবারই করে ফেলা যাবে এমন কোন কথা না। এমন কি এরপরে যে সরকার আসবে তারাও সব করে ফেলতে পারবে এমনও কোন কথা না। কারণ আজকে আমরা যেটা করছি সেটা দশ বছর পরে আমরাই বলতে পারি যে এটা নতুন করে সংস্কার করা দরকার। কাজেই সংস্কার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কেউ যদি মনে করে আমরাই সব সংস্কার করে ফেলবো সেটা হবে না।

তিনি আরও বলেন, একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন এবং দেশের জনগণের দৈনন্দিন সংকট সমাধানের জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করতে পারেন। এমন কি একটা নির্বাচিত সরকার এসে কি কি করলে ভালো সে পরামর্শ থাকলে সেটাও বলতে পারেন।

জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপা সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, এড. এহসানুল হুদাসহ ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।