বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমরা আকাঙ্ক্ষা করতে চাই এই বছরের মধ্যেই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সরকার প্রধান হিসাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবও বলেছেন এই বছরের মধ্যে অথবা ২৬ এর প্রথমে নির্বাচন হবে। সময়সীমা যেনো এর থাকে তাহলে ভালো কিছু হবে। কারণ আমরা চাই যেভাবে আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে বসিয়েছি সেভাবেই আপনাকে বিদায় দিতে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে অভ্যুত্থানের পাঁচ মাস: আকাঙ্ক্ষা ও সঙ্খা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষের দল। আন্দোলন সংগ্রামের কারণেই বিএনপি মানুষের হৃদয়ের মধ্যে আছে। আর আওয়ামী লীগ লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপিকে যারা তুলনা করে তারা শয়তানের বাবা। তাদের মতো শয়তান আর কেউ নাই। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপিকে যারা মাইনাস করতে চেয়েছিল তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। দেশের মানুষ ১৬ বছর দেখেছে আওয়ামী লীগ দেশের কি পরিস্থিতি করেছে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আকাঙ্ক্ষা কি ছিল এটা সবাই জানে। আকাঙ্ক্ষা ছিল মানুষ ভোট দিতে পারবে। মানুষ স্বাচ্ছ্যন্দভাবে চলাফেরা করতে পারবে, খুন হবে না, গুম হবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে, সীমাহীন ব্যাংক লুট, ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হবে। কিন্তু, এগুলো এখন দুঃখজনক পর্যায়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা ছাত্র জনতার ওপর গুলি করেছে তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
শিবিরকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শিবির তো বলে তারা ছাত্রলীগের মধ্যে ছিল। তাহলে ছাত্রলীগ যাদেরকে পিটিয়েছে শিবির ও তাদেরকে পিটিয়েছে। আবার আরেকজন আছে সে ছাত্রলীগ থেকে এসেছে। সে তো ছাত্রলীগে আবার যেতে পারবে না। কারণ ছাত্রলীগ তো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এতো ভয় পাচ্ছেন কেন? এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থান করেছেন। মানুষ তো আপনাদের এমনিই ভোট দিবে। এরশাদ পতন আন্দোলনের সময় মেইন ভূমিকা পালন করেছিল ছাত্রদল। পরবর্তী সময়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। নির্বাচন হলে ওই হিসাবে তো আপনাদের জেতার কথা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস'র উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি সম্মানিত মানুষ। এমন কোনো কাজ করবেন না, আপনার উপর দেশের মানুষের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। আপনার সম্মান বিনষ্ট হয়। আপনার উপর এখনো বিএনপির এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা আছে। সেই আস্থা নষ্ট করবেন না। আপনাকে কেউ না কেউ ব্যবহার , কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে। এই জায়গায় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভারতকে ছোট করে দেখবেন না। শেখ হাসিনা প্রচুর দুর্নীতি করেছে। তার কাছে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। এই শক্তিকে ছোট করে না দেখে আন্দোলনকারী শক্তিদেরকে বলবো একটু হুঁশে থাকতে হবে। এই সচিবালয়ে এখনো আওয়ামী লীগ দোসররা রয়েছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ইউথ ফোরামের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মোঃ হারুনুর রশিদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ড ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,বিএনপি সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাসির জামাল,কৃষক দলের নেতা এস কে সাদি,আব্দুর রাজি,বিপি মাসুম,আমির হোসেন বাদশা, ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।