জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের উপর অন্ধ বিশ্বাস থাকায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাচনে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, 'একটা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনে গিয়েছি। যদি না যেতাম, তাহলে আপনারাই বলতেন, না গিয়ে ভুল করেছেন।’
‘আরেকটি কারণ হল, নির্বাচনে গেলে আমাদের নেতাকর্মীরা বের হয়ে আসতে পারবেন, মানুষের কাছে যেতে পারবেন। আরেকটা কারণ ছিল ড. কামাল হোসনের উপর অন্ধ বিশ্বাস ছিল। নির্বাচনে এতোটা খারাপ অবস্থা হবে তা ধারণায় ছিল না।'
মওদুদ বলেন, 'আমাদের একজন প্রার্থীকেও সুষ্ঠুভাবে প্রচারণা চালাতে দেয়া হয়নি। প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বাড়ির পাশে বোমা ফাটিয়েছে, ভয়ভীতি ছড়িয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে, যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলে বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে, ছেলেদের জেলে পাঠাবে।'
'এই নির্বাচনে সরকার পুলিশকে ক্যাশ টাকা দিয়েছে। আগে আমরা প্রার্থীরা ক্যাশ দিতাম। কিন্তু সরকার যে ক্যাশ টাকা দেয়, সেটা আগে জানা ছিল না। এটা হাতে কলমে প্রমাণ করা যাবে না। তবে কথাগুলো শতভাগ সত্য।'
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরীক অবস্থা সম্পর্কে মওদুদ বলেন, 'তিনি (খালেদা জিয়া) হাঁটতে একেবারেই পারেন না। শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক খারাপ।'
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে। আর এই আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
আইনজীবী ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে এই আইনজীবী বলেন, 'বললেই আন্দোলন হবে না। সারাদেশে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মা বোনদের ধর্ষণ করেছে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, পুনর্বাসন করতে হবে।’
আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাড. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জগলুল হায়দার আফ্রিক, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।