ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনা হিন্দুস্তানের কাছে নতজানু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ১৬টি বছর শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তছনছ করে দিয়েছিল। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য হিন্দুস্তানের নিকট নতজানু হয়েছিল। আর এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়েই বিএনপির ওপর নেমে আসতো মামলা। সেসব মামলাকে উপেক্ষা করেই আজ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে যদি সমুন্নত রাখতে চান, তাহলে অবিলম্বে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। দেশে ইতিমধ্যে মঈন-ফখরুলের চাইতেও কঠিন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এই ষড়যন্ত্র আপনাকে রুখতে হবে। জনগণ ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে,অ পেক্ষা কেবল তারিখের।
তিনি আরও বলেন, ৫০ বছরেও নাকি রাজনীতিবিদরা সংস্কার করতে পারে নি। বর্তমানে প্রয়োজন রোজার আগেই সমস্ত আওয়ামী সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। যদি আমরা ন্যায্য দামে পেঁয়াজ, মুড়ি, কাঁচামরিচ কিনতে না পারি, তাহলে মুগ্ধদের রক্ত দিয়ে কি লাভ হলো! মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশ্বাস করছে, আরও করবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বিশ্বাসের ঘরে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে দরকার ১৯৯১ সালের মতো সকল আন্দোলনকারী দলকে নির্বাচনের আওতায় নিয়ে আসা, দিনের ভোট দিনে করে সংসদ প্রতিনিধি নির্বাচন করা। মঈন-ফখরুদ্দীনের মতো আলাদা দল করলে দেশের মানুষ তা কোনোদিন মেনে নিবে না। ষড়যন্ত্র করার আগে তা রুখে দেয়ার শক্তি তারেক জিয়ার রয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।