আ.লীগ বল প্রয়োগ করে ১৬ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা তিন বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বল প্রয়োগ করে গত ১৬ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল, বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, মানুষের চলাফেরা চিন্তা চেতনা খর্ব হয়েছিল। দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল, জনগণের প্রতি কোনো দায়-দায়িত্ব ছিল না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ছিল না।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বিএনপি আয়োজিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জি কে গউছ বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। গণতান্ত্রিকভাবে এই দেশ পরিচালিত হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করেন। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নিয়ম। কিন্তু শেখ হাসিনা জোর করে সমস্ত নিয়মকে মাটি চাপা দিলেন, দিনের ভোট রাতে নিয়ে গেলেন, শেখ হাসিনা তার অধীনস্ত দলকানা, অতিউৎসাহী প্রশাসনের লোক দিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন। কিন্তু সীমালঙ্গনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। আল্লাহ নমরূদ, ফেরাউনকে ছাড়েননি, শেখ হাসিনা এর বাহিরে ছিলেন না। তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলতেন শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু জনরোষের মুখে শেখ হাসিনা ঠিকই পালিয়েছে। আওয়ামীলীগের যে সকল নেতারা পুলিশ পাহারায় থেকে বিএনপিকে গালিগালাজ করতেন, তাদের এখন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, ছাত্র সমাজ যখনই রাস্তায় নেমেছে, সফলতা ছাড়া তারা ঘরে ফিরে যায়নি। ৬৯ বলেন, ৭০ বলেন, ৭১ বলেন আর ৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের হাত ধরেই সফলতা এসেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করবেন। জনগণ আবারও লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে, ইনশাআল্লাহ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইসলাম তরফদার তনু, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, যুবদল নেতা শেখ মামুন প্রমুখ।