'দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পাহারা দেবে'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, দুর্গাপূজায় কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে মণ্ডপে হামলা করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পাহারা দেবে। 

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি সদর সানমুন কনভেনশন সেন্টারে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলে। 

বিজ্ঞাপন

সরওয়ার আলমগীর বলেন, যারা চাঁদাবাজি করছে, মন্দির জ্বালিয়েছে ওইখানে গিয়ে দেখা গেছে সব ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মী। তারা ধরা খেয়েছে। আমি বলেছিলাম, অনেকে কর্নার কীক করার করতেছে। আমার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা, আপনাদেরকে তারা সবসময় বিক্রি করেছে।

'সিএস আমার, আরএস আমার। এই দেশ আমাদের। শেখ মুজিব দিল্লি গিয়েছে তার মেয়েও দিল্লি পালিয়ে গেছ। আমরা এ দেশ থেকে কোথাও যাব না। হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ ছাড়বে না। হিন্দু-মুসলিম বৌদ্ধ-খ্রিস্টান আমরা সবাই একইভাবে থাকবো, আমাদের কোনো ভেদাভেদ নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। ঈদের সময় যেমন হিন্দুরা মুসলিমানদের বাড়িতে আসে, পূজার সময় যেমন মুসলমানরা হিন্দু বাড়িতে গিয়ে লাড়ু খাই- এই সম্প্রীতি সব সময় থাকবে ইনশাল্লাহ।'

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সরকারের নির্যাতনে যারা দেশ ত্যাগ করেছেন, আমি সবাইকে দেশে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী বাকশালী শাসন আর বাংলাদেশে নেই। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলে বাংলাদেশ এখন আমরা একসঙ্গে বসবাস করতে পারব। আপনারা দেশে ফিরে আসুন। 

সরওয়ার আলমগীর বলেন, হিন্দুু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমাদের নেতা তাকের রহমান বলে দিয়েছেন- কেউ যদি কোনো মন্দিরে বা অন্য কোথাও হামলা করে বা লুট করে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব যারা করে তারা বিএনপির নেতাকর্মী হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বিএনপির পরিচয়ে কেউ যদি এসব করে তাদের ধরে বেঁধে রাখবেন।

ফটিকছড়ি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বৈষ্ণব বলেন, আমর সবাই ভাই-ভাই। আমাদের পূজায় আপনাদের আমন্ত্রণ করি। আমরা বিশেষ কিছু চাই না। আমরা সবসময় চেয়েছি, সম অধিকার। আমরা আশা করছি, এবার পরিবর্তন আসবে। তারেক রহমানের বক্তব্যগুলো আমাদের জন্য নিয়ামত ছিল। আমরা একেই চাই। আমরা প্রগতিশীল একটা লোক চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষ, মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই। আপনাদের সঙ্গে সবসময় ছিলাম, আছি, থাকব। আপনারাও আমাদের সঙ্গে একইভাবে হাতে হাত ধরে হাটুন। আমাদের একটু কথা, আমরা ক্ষমতা চাই না। আমরা শুধু শান্তিভাবে এদেশে বসবাস করতে চাই। আর কিছু আমরা কোনো দিন চাইব না। আমরা অতীতের মতো মিলেমিশে হিন্দু মুসলিম সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই। আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকব, মিলব, কাজ করব।

এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য মোবারক হোসেন কাঞ্চন, এডভোকেট উত্তর কুমার মহাজন, তরুণ কিশোর, লিংকন চক্রবর্তী, সুমন বণিক, রনজীত শীল, বাবু কান্তি নাথ প্রমূখ।