কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সকল বিরোধী দলকে বলবো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাত্ম থাকুন, রাজপথে নামুন, সরকার বাধ্য হবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে গণঅধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাকশালী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আর বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে দেয়া যাবে না।
এরা রাষ্ট্রদ্রোহী দল, এই গণঅভ্যূত্থানে জনগণের ওপর গুলি চালানোর জন্য আওয়ামী লীগ ভারত থেকে ব্ল্যাক ক্যাটসহ বাহিনী এনেছিলো। ভারতের তাবেদার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে যারা অবস্থান নিবে তাদেরও প্রতিহত করতে হবে।
সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের মতের ভিন্নতা আছে, পথের পার্থক্য আছে কিন্তু বাংলাদেশের প্রশ্নে আমারা আপোষহীন। বিএনপি, জামায়াতসহ সকল বিরোধী দলকে বলবো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাত্ম থাকুন, রাজপথে নামুন, সরকার বাধ্য হবে। প্রশাসনসহ যারাই গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুধু একটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জনগণ ক্ষমতায় বসায়নি। রাষ্ট্রের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য, একটি মানবিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দলমত নির্বিশেষে জনগণ তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। আগে রাষ্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচন, তাদের রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন হবে গণঅধিকার পরিষদসহ বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল দল এই সরকারকে সেই সময়টুকু দেবে।
গণসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নাল আবেদীন বিস্তারিত জানাবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পরে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়।
তবে গত ২৫ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি। বাকিরা হলেন— তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন রিভিউ আবেদন করেন।
অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় আচার থেকে জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ের ইতিহাস ও চেতনা মুছে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিবৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট শোক দিবসসহ বিভিন্ন দিবস বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া বিবৃতিতে সরকারের এ উদ্যোগকে ‘প্রতিহিংসামূলক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের বিবৃতি ইত্তেফাক ডিজিটাল পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘বর্তমান সরকার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাবিরোধী কাজ করে আসছে। সুপরিকল্পিতভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদেরকে শত্রুজ্ঞান করছে। জাতীয় রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করছে। মিথ্যা মামলায় গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশে নৈরাজ্যবাদ কায়েম করেছে, যাকে মাৎস্যন্যায় বলা চলে। সরকারের অদক্ষতা ও অনাচারে অতিষ্ঠ মানুষ ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছে, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা’।
বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইতিহাসের সন্তান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহকর্মীবৃন্দ, দেশের মুক্তিকামী জনতা ও তার পরিবারের অবদান অমোছনীয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে মুক্তির লড়াইয়ের সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রতীকী স্থাপনাসমূহ। এসবের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জাতীয় দিবসসমূহ রাষ্ট্রাচার থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা এহেন প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এর মধ্যে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক জাগরণের ভাষণ দিবস, ১৭ই মার্চের শিশু দিবস এবং ১৫ই আগস্টের মতো শোক পালনের দিবস রয়েছে। আমাদের জাতীয় ইতিহাস থেকে এসব দিবসের তাৎপর্য কোনো বিবেচনাতেই অস্বীকার করা যাবে না। রিসেট বাটন চেপে কেউ আমাদের ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’। আমাদের প্রত্যাশা হিংসা ও বিদ্বেষের বিপরীতে সকলের যাবতীয় ও জাতীয় ভুলগুলো অন্ধকারে হারিয়ে যাক, আমাদের অন্যায়গুলো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াক এবং সকল অপশক্তি বিনাশের জন্য আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হোক ‘সত্য বল সুপথে চল’। সরকারের বিদ্বেষে বাতিল হতে যাওয়া দিবসগুলো বাঙালি বরাবরের মতো সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পরম মমতায় পালন করে দৃঢ়ভাবে বলে উঠবে, ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে’।
রিসেট বাটন চেপে বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলার মাধ্যমে বিভেদ ও প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তির রাজনীতিকে পরিপুষ্ট করতে চাওয়ার এহেন অভিপ্রায় বাঙালি জাতি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সমগ্র জাতি ও মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এহেন হীন পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেবে। ইনশাআল্লাহ্।’
জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। মো. মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্সকে আহ্বায়ক, মো. আরিফ আলীকে সদস্য সচিব ও নাজমুল হাসান রেজাকে যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেওয়ার শর্তে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু'র সুপারিশক্রমে চেয়ারম্যান জিএম কাদের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন পার্টির দফতর সূত্র জানিয়েছে।