সীমান্ত নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে সরকার: বিএনপি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জনসমর্থনহীন সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

মিয়ানমারের সহিংসতায় বাংলাদেশ আক্রান্ত হওয়ার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে অতীতের ন্যায় অন্তঃসারশূন্য যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব বড় ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে। সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সহিংস সংঘর্ষে ‘ডামি’ সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বাংলাদেশের মানুষ হতাহতের ঘটনাসহ জাতীয় সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় সরকারের অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য এবং শুধু ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের অবস্থান গ্রহণ নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

দেশের সীমান্ত ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ না নিয়ে সোমবার সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন- মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অনির্বাচিত ও অপদার্থ বলেই সাহস করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল গোলাগুলি—সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দুপক্ষের ছোড়া গুলি, মর্টার শেল, বিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চারের খোল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। এতে প্রতিদিনই বাংলাদেশের ভেতরে হতাহত, ঘরবাড়ি দগ্ধ হচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয়রা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আরও বলা হয়, কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকার ক্রমাগত কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মেরুদণ্ডহীন এই নতজানু সরকারের কারণেই জাতীয় সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং জননিরাপত্তা অরক্ষিত। আওয়ামী ডামি সরকার কেবল দেশে বিরোধী মত দমন করতেই পারঙ্গম। অথচ সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও ভীত-পরনির্ভরশীল সরকার বলছে ধৈর্য ধরতে হবে।