'সুশীল সমাজের একাংশ কনফিউশন তৈরির চেষ্টা করছে'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুশীল সমাজের একাংশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজববাজ অপপ্রচারকারীরা মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আরাফাত বলেন, প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে, হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, না হয় যুবদল, না হলে বিএনপি'র কোন না কোন পর্যায়ের নেতা বা কর্মীরা। এবং তারা অনেকেই ধরা পড়ার পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিচ্ছেন। 

তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বিমুখ হয়। গণতন্ত্রের ধারার বাইরে গিয়ে তারা আবারও ২০১৪-১৫ এর মতো পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোর থেকে আশা বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার আগুনে জ্বলেছে মা ও শিশু সন্তানসহ চারটি তাজা প্রাণ। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, শুক্রবার ও আজকে বিএনপি জামায়াত দেশের ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্র আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছেন। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে বিএনপি জামায়াতের লোকজন। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুইটি বাসে আগুন দিয়েছে তারা। ভোলাতে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এই চিত্র শুধু গত দুই দিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএ তেই আছে।

আরাফাত বলেন, পরিতাপের বিষয় হল এই, তারা যে নাশকতা করছে এবং মানুষকে হত্যা করছে কিন্তু তাদের সাথে তাদেরই পার্টনার ইন ক্রাইম এক দল মানুষ তারা এক্স, ফেসবুক এবং টেলিভিশন টকশোতে এবং অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্যভাবে অপপ্রচার করে সবগুলো দোষ সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করার চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়। এখন তারা ভোট বর্জন করছে, তাদের যদি সে আস্থা থাকে মানুষ ভোট দিবে না তাদের তো লিফটের বিতরণ করার প্রয়োজন নাই। ভোটের দিনে তাদের তো হরতাল দেবার প্রয়োজন নাই। মানুষ তো এমনিই ভোট বর্জন করবে তাদের কথা অনুযায়ী। তার মানে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে। যেহেতু তারা এটা বিশ্বাস করে না সেজন্য তারা প্রথমে লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপরে তারা হরতাল ডাক দিয়েছে। নতুন করে নাশকতা করার মাধ্যমে, মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। হুমকি দিচ্ছে যেনো মানুষ ভোট দিতে না আসে।