সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে অবরোধ সমর্থনে সাতক্ষীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের রাধানগর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের সঙ্গীতা মোড় এলাকায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয় হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ন আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসান।
এ সময় সেখানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য আবুল হাসান হাদী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি আছিমুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মিলন, সংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান, কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক শামীম কবীর সুমন প্রমুখ। এসময় উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপি ও তার অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদ এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে এক দফা দাবিতে কঠিন থেকে কঠিনতম আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অগ্নিকন্যা খ্যাত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরের পাশে শায়িত করা হবে।
গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।
মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কবরস্থান কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। জায়গা পেলে সেখানে দাফন করা হবে।এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মতিয়া চৌধুরীকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় নেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুর জেলায় মতিয়া চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
ইডেন কলেজের ছাত্রী থাকাকালীন তিনি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৬২ সালে হামদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে যে প্রবল ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠে, তারও সম্মুখসারির সংগঠক ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ১৯৬৩ সালে তিনি রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরের বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়ন মতাদর্শিক কারণে বিভক্ত হলে মতিয়া চৌধুরী এক অংশের সভাপতি নির্বাচিত হন। অন্য অংশের সভাপতি হয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন। সেই হিসাবে ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপ ও ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপ নামে পরিচিতি পেয়েছিল।
মতিয়া চৌধুরী তার জ্বালাময়ী বক্তৃতার কারণে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসাবে ছাত্র-জনতার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর ১৯৬৭ সালেই মতিয়া চৌধুরী যোগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে। দ্রুতই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে খ্যাতি অর্জন করেন তার বক্তৃতার কারণে।
১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের পতন হলে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক রাজনৈতিক বন্দি কারাগার থেকে মুক্তি পান। মতিয়া চৌধুরীও তখন জেল থেকে বেরিয়ে এসে মাঠের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মতিয়া চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনী গঠনে তিনি একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি ন্যাপের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের রাজনীতি করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি-গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ-এই ধারার রাজনীতি থেকে মতিয়া চৌধুরী কখনো বিচ্যুত হননি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বামপন্থি রাজনীতিবিদদের ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মতিয়া চৌধুরীও ছিলেন তার পছন্দের তালিকায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল গঠন করলে এর ১১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মতিয়া চৌধুরীকেও রাখা হয়।
১৯৭৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের যোগ দেন। তিনি দলটির কৃষি সম্পাদক হয়েছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। বর্তমান তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা গেলে জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্র মেরামতে একটি পূর্ণাঙ্গ যুগোপযোগী সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করতে ছয়টি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। সংবিধান, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা, পুলিশ, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করতে এই ছয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ছাড়া বাকি ৫টি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সংবিধান সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এ কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে ৬ জনকে। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে। সদস্য রাখা হয়েছে ৪ জনকে। পুলিশ সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদকে। সদস্য রাখা হয়েছে ৪ জনকে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে। সদস্য করা হয়েছে ২ জনকে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে। সদস্য রাখা হয়েছে ৬ জনকে। তাদের সবাইকে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারেও একটি কমিটি করা হয়েছে। তাদেরকেও চিঠি দেওয়া হবে।
সূত্রমতে, কমিটিগুলো তাদের কার্যক্রম দু-একদিনের মধ্যে শুরু করবেন। কমিটির কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর সেগুলোকে একত্রিত করে প্রস্তুত করা হবে দলের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রস্তাব। এরপর তা জনসমক্ষে প্রকাশের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানসহ সরকারের ছয়টি সংস্কার কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সকল বিরোধী দলকে বলবো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাত্ম থাকুন, রাজপথে নামুন, সরকার বাধ্য হবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে গণঅধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাকশালী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আর বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে দেয়া যাবে না।
এরা রাষ্ট্রদ্রোহী দল, এই গণঅভ্যূত্থানে জনগণের ওপর গুলি চালানোর জন্য আওয়ামী লীগ ভারত থেকে ব্ল্যাক ক্যাটসহ বাহিনী এনেছিলো। ভারতের তাবেদার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে যারা অবস্থান নিবে তাদেরও প্রতিহত করতে হবে।
সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের মতের ভিন্নতা আছে, পথের পার্থক্য আছে কিন্তু বাংলাদেশের প্রশ্নে আমারা আপোষহীন। বিএনপি, জামায়াতসহ সকল বিরোধী দলকে বলবো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাত্ম থাকুন, রাজপথে নামুন, সরকার বাধ্য হবে। প্রশাসনসহ যারাই গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুধু একটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জনগণ ক্ষমতায় বসায়নি। রাষ্ট্রের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য, একটি মানবিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দলমত নির্বিশেষে জনগণ তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। আগে রাষ্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচন, তাদের রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন হবে গণঅধিকার পরিষদসহ বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল দল এই সরকারকে সেই সময়টুকু দেবে।
গণসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নাল আবেদীন বিস্তারিত জানাবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পরে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়।
তবে গত ২৫ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি। বাকিরা হলেন— তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন রিভিউ আবেদন করেন।