নির্বাচনে জাতীয় পার্টি একাই লড়াই করলে স্বাগত জানাবো: কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি একাই লড়াই করতে পারলে আওয়ামী লীগ তাদের স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পাটির আসনগুলোতে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে তারা কোনো তালিকা পাঠায়নি। তারা যদি নিজেদের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে নির্বাচন করেন, এ মুহূর্তে এটাই হবে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো খবর। সত্যিকারের অপজিশন হিসেবে নিজেদেরকে দাঁড় করানোর একটা মুখ্যম উপায়। তারা নিজেরাই নির্বাচন করতে পারলে আমরা স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, মামলা মামলার পথে চলবে। নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি, সে আচরণবিধি অনুযায়ী কেউ যদি ইলেকশনের জন্য ইলিজেবল হয়, সেখানে আমরা কেন বাধা দিতে যাব।

১৪ দলের শরিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের জোট, তাদের সঙ্গে আমাদের সিদ্ধান্ত হবে। সেই জোটকে বাইরে রেখে নির্বাচন করব সেই কথা আমরা ভাবিনি। এখানে এডজাস্টমেন্টের ব্যাপার আছে। এসব বিষয় ভেবে দেখা দরকার। মানুষ চায় না এমন কারো নাম জোট থেকে দিলে, সেটাকে তো আমরা সমর্থন করতে পারবো না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন নির্বাচক কমিশনের পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। শৃঙ্খলা জনিত তাদের কোনো ব্যবস্থা, বা অন্য কোনো ব্যবস্থা, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ট্রান্সফার, এগুলো আওয়ামী লীগ করছে না, প্রধানমন্ত্রী করছে না, সবই নির্বাচন কমিশন করছেন। ইউএনও ট্রান্সফার, ওসিদের ট্রান্সফার, ডিসিদের ট্রান্সফার, এই কাজগুলো আজ সরকারের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, বিএনপি একটা দল, এখন ৩২ দফা, ৫৪ দল, সেইসব দলও তাদের সঙ্গে নেই। অনেকে তাদের বলে রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিএনপি না হলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয়ে যাবে, এক তরফা হয়ে যাবে কেন? বিএনপির যে ভুয়া আন্দোলনে, এ আন্দোলনের কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আজকে তাদের ঝটিকা মিছিল করতে হয় অন্ধকারে। কুয়াশার মধ্যে হঠাৎ করে গুহা থেকে বেরিয়ে, শুরু করে দেয় মিছিল, কিছুক্ষণ পর আর নাই। পুলিশ দেখলে আবার চলে যায়। এদের বুকে সাহস নেই।

তারেক জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি তারেক রহমানকে বলবো সাহস থাকলে, রাজনীতি করতে চাইলে সৎ সাহস থাকলে, আসুন মাঠে। আমার একটা রাজনৈতিক দল, আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ, আপনাদের আমরা কখনো শত্রু ভাবিনি। ষড়যন্ত্র করিনি। খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে যাইনি, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যাইনি, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির অনেকেই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তার প্রমাণ, তাদের দলেরে অনেকে নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন, শুধু সমশের মবিন, তৈমুর আলম খন্দকার নয়, জেনারেল ইব্রাহিম বীর প্রতীক সাহেবও আছেন। আজকে অনেকেরই শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। অনেকে বিএনপি'র নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না। সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে তারা।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।