আ. লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়: ফখরুল
-
-
|
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের কথা ভূতের মুখে রাম নাম। আজ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এক মুহূর্তের জন্য এ সরকারকে দেখতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। তারা আচরণ করছে বর্গিদের মত। এখন পুরনো মামলায় বিএনপি নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। এইদিকে আইনমন্ত্রী তালিকা করে দিচ্ছেন- কার কার বিচার আগে হবে। এসব নিয়ে বিশেষ সেল গঠন করতে বলা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন মানুষ বেশি কিছু চায় না, তারা শুধু নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে। মানুষ সবই দেখেছে। ওই নির্বাচনগুলোতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৮ সালে বিএনপি ভুল করে হলেও কিছুটা বিশ্বাস করে সরকারের সাথে আলোচনায় গিয়েছিল। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দর সুন্দর কথা বলেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি। সামনে নির্বাচন, একই কায়দায় আবারও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। সংবিধানের দোহাই দেওয়া হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের কী করুণ অবস্থা দেখুন, ইউরেনিয়াম কী জিনিস তা তিনি জানেনই না। আসলে দলে নিজের মনিবের প্রতি তোষামোদি করতে গিয়ে আগ বাড়িয়ে বিনোদনমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে রেলপথ উদ্বোধন করা হয়েছে ভালো কথা, কিন্তু কত টাকা বেশি খরচ করেছে খোঁজ নেন। আজ দেশের সব সূচক নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। রিজার্ভের পরিমাণ এত কমেছে কয়েক মাস পর আমদানি করার টাকা থাকবে না। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চারগুণ বেশি খরচ করেছে শুধু কমিশন খাওয়ার জন্য, দুর্নীতির জন্য।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সভা-সমাবেশে সীমাবদ্ধ না থেকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সব রাজনৈতিক দলকে দেশরক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। কালবিলম্ব না করে দলমত নির্বিশেষে যারা দেশকে ভালোবাসেন, দেশকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’
