বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান: ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান: ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান: ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

বাবা মোহাম্মদ জহির যুবদল নেতা আর ছেলে নীরব ইমন করেন ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ জহির। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেটি ইমনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠান। বিএনপির রোডমার্চে বাবার অংশ নেয়া মানতে না পেরে ক্ষুব্ধ ইমন বাড়িতে ছুঁটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে বিষপান করেন।

বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নীরব ইমন। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে অসুস্থ ইমনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। চমেক হাসপতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ইমনের পাশে কিছু সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। তখন পাশে ছিলেন ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহিরও। এসময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা ও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ইমনের বাবার হাতে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

নীরব ইমন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তাঁর বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। তাঁদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ।

অসুস্থ ইমন শুক্রবার চমেক হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোনো উন্নয়ন করেনি। রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন, হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি দিয়েছেন। বাবা অন্য দলের রাজনীতি করবে আর বন্ধুরা সেটা আমাকে দেখিয়ে দিবে সেটা আমি মেনে নিতে পারিনি।

চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার জানিয়েছেন, বিষপানে অসুস্থ ইমনকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শুরুতে তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। পাকস্থলি পরিস্কার করা হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশাকরি দ্রুতই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন।