ড. ইউনূসের চিঠির দাম দুই মিলিয়ন ডলার: কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

কদিন আগে হঠাৎ দেখলাম ড. ইউনূস সাহেবের জন্য ১৬০ জনের বিশাল চিঠি। এই চিঠির দাম টু (দুই) মিলিয়ন ডলার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দেশব্যাপী প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যে পত্রিকায় বিবৃতি ছাপা হয়েছে, সেই পত্রিকায় বিবৃতিটি দিতে টু মিলিয়ন ডলার লেগেছে। কোথা থেকে এলো এ টাকা?

তিনি ড. ইউনূসকে প্রশ্ন রেখে বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দেন। গরিবের, শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা মামলা করে, অপকর্মের জন্য কোর্টে বিচার হয়, আর এর বিরুদ্ধে বিবৃতি। কেন এত ভালোবাসা?

বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ইউনূসের কোন দরদ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে, করোনায় তার কোন অবদান নেই। আমাদের দেশের দুঃখ-কষ্টে, ভাল-মন্দে তিনি আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা কেন তার সঙ্গে থাকবো? কি কারণে থাকবো? আমি জানতে চাই।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। এই বুঝি ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন চলে আসছে। দিন যায়, রাত যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে পনের বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? মানুষের মনে আজকে প্রশ্ন। বিএনপির প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কখনো ইউরোপ দেখে, কখনো আমেরিকা দেখে, সব ছেড়ে দিয়ে আটলান্টিকের ওপারে আমেরিকার দিকে তাকিয়ে আছে। তাকিয়ে ছিল না? তাকিয়ে ছিল, এখন কি হলো? একটা সেলফি দেখেই বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে গেল। রাতের ঘুমটাও নাই, হারাম হয়ে গেল।

এখন কাকে দেখাবে? কে নিষেধাজ্ঞা দিবে? কে ভিসানীতি প্রয়োগ করবে? ওইসবের ভয় আমরা পাই না। আমরা আমাদের জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের শক্তি আমাদের শক্তি। সেই শক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন করতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্যের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। ওদের (বিএনপি) তো নেতাও নেই। নেতা থাকে টেমস নদীর তীরে, ওই লন্ডনে। বসে বসে মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা নিচ্ছে। ইলেকশন কয় (বলে) করবে না। তলে তলে মনোনয়ন বাণিজ্য। প্রস্তুতি ঠিকই নিচ্ছে। উপরে উপরে আন্দোলন। আন্দোলনের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। বাজার আর জমে না। পাবলিক আসে না নেতাকর্মীরা এখন হতাশ।

আগামী নির্বাচন বলে দিবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ বলে এক মাস, কেউ বলে দুই মাস, কেউ বলে চার মাস। আগে তো সময় দিতে পারে নাই, সময় দেবার তোমরা কে? সময় আছে কি নেই ঠিক করবে ইলেকশন। আগামী নির্বাচন বলে দিবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝে শুনে থাকলে প্রস্তুতি নিন।

এসময় ওবায়দুল কাদের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজ আমার মনে হয় নেত্রী কোন ভুল করেননি। এখন পর্যন্ত যুবলীগের চেয়ারম্যান, যুবলীগের জেনারেল সেক্রেটারি ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এখন পর্যন্ত যুবলীগ আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে তাদের নেতৃত্বে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ। যুবলীগ এক্ষেত্রে অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।