সামনে শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে: বুলু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু

সামনে শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

তিনি বলেন, মানুষ এখন জানাজার নামাজও পড়তে পারে না। সামনে এমন দিন আসবে, আমার মনে হয় শেখ হাসিনা থেকে অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে নামাজ পড়তে চাই। আমাদের এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে বিদায় নেন। অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না। আজকের আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ নয়। আজকের আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের অনুমোদনের আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠ‌নিক সম্পাদক জালাল উ‌দ্দিন মজ‌ুমদার, হারুন অর র‌শিদ ভি‌পি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, একদিনের ঘোষণায় লাখ লাখ মানুষ গণমিছিলে যোগ দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপির রাজনীতিতে জনগণ একতাবদ্ধ। এই সরকার হিংসার কারণে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান উচ্চতর ডিগ্রিধারী। তাদের পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছে। তাকেও মিথ্যা মামলার আসামী করে সাজা দেওয়া হয়েছে।

বুলু বলেন, তারেক রহমানকে ৫০ লাখ মানুষ স্বাগত জানাতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তাকে মামলার সাজা দেওয়া হয়েছে। এই থেকে বোঝা যায়, এটি রাজনীতির হিংসার প্রতিফলন। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রক্ষা হবে না। আপনি খালেদা জিয়াকেও মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার পা ধরে মাফ চাইতে হবে। এছাড়া আপনার কোনো গতি নেই।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। শেখ হাসিনাকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই। আমরা সরকারের পতনের দাবিতে একদফার আন্দোলনে আছি। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই সরকার মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পারছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিনা ভোটের মেয়র মশার ওষুধ স্প্রে করেছে। কিন্তু এমন ওষুধ কিনেছে, মশা মারা যায় না। সবকিছু দুর্নীতিতে সয়লাব করে ফেলেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার হরণ করে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এই সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে মানুষের অধিকার রক্ষাযর সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর থেকে ক্ষমতালোভের কারণে জনগণের প্রতি অমানবিক আচরণ করে আসছে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খন্ড বিখন্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা।

আবু সুফিয়ান বলেন, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গণতন্ত্রকে কঙ্কালে পরিণত করে চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরি করেছে। অবৈধ সরকারের দানবীয় তান্ডবে মানুষের মৌলিক অধিকার সবকিছুকেই ডাকাতি করা হয়েছে।

এতে বক্তব‌্য রা‌খেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু প্রমুখ।