‘বিরোধী দল দমনের ‘নতুন খেলা’ শুরু করেছে সরকার’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল দমনের ‘নতুন খেলা’ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য ঊধর্বগতির প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার আবার নতুন খেলা শুরু করেছে। সামনে নির্বাচনের ঢোল বাজছে। নির্বাচনের আবার সেই ঢোল। নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে তারা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়, সমস্ত বিরোধী দলকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করে নিতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই রোজার মাস আমরা একটা শশা কিনতে পারি না। এই রোজার মাসে আমরা বেগুন কিনতে পারি না। দুঃখ হয় যখন প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে রান্নার নতুন রেসিপি দেন। সেই রেসিপি কী? তিনি বলেছেন যে, মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাও। যখন তারা পারছে না বেগুন দিতে, যখন তারা পারছে না শশা দিতে, যখন তারা পারছে না চাল-ডাল দিতে তখন তারা এ সমস্ত কথা বলছে।

তিনি বলেন, গতকাল তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে বিএনপির কারসাজি আছে। সব সময় তিনি এটা বলে এবং বলে যে, যা কিছু ঘটে তার পেছনে নাকি বিএনপি আছে। আরে ভাই বিএনপি যদি সব কিছু ঘটাতে পারে তাহলে তোমরা ক্ষমতায় আছো কেনো? ক্ষমতা ছেড়ে দাও, বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দাও দেখো আমরা দেশ চালাতে পারি কিনা।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার হচ্ছে শুধুমাত্র সেই সব লোকের সরকার, মুষ্টিমেয় কয়েকটা লোককে বড়লোক করার জন্য গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে তারা ব্যবহার করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে কি করছে, যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে তারা গ্রেফতার করছে, সাজা দিচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এই দেখেন মতিঝিলে শ্রমিক দলের একটা প্রোগ্রাম থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে, শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি আলী খান, জাহাঙ্গীর আলম, আসাদুজ্জামান বাবুল, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জুলফিকার মতিন, কাজী আমীর খসরু, খোরশেদ আলমসহ নেতবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।