হজে থেকেও পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলার আসামি বিএনপি নেতা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চকবাজার থানা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বাদল

চকবাজার থানা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বাদল

হজে থেকেও পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মমলার আসামি হয়েছেন বিএনপি এক নেতা। তিনি হলেন চকবাজার থানা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বাদল। উমরা হজ করতে ১৪ থেকে ১৫ দিন আগে মক্কায় যান তিনি। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে বিএনপি।

আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার পথে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে এ মামলা দায়ের হয়। রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলার ৮০ নাম্বার আসামি আনোয়ার পারভেজ বাদল।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দেশের বাইরে থাকার পরও চকবাজার থানা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বাদলকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি উমরা হজ করতে মক্কায় অবস্থান করছে। ১৪ থেকে ১৫ দিন আগে তিনি মক্কায় যান। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছে। তারপরও তাকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনেও একই দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল বৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণকালে বিনা উসকানিতে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। তারপর তাকে আদালতে হাজির করা হলেও আদালত চত্বরেও বিএনপি নেতাকর্মী উপর অত্যাচর-নির্যাতন করা হয়। টিয়ারগ্যাস, গুলি চালানো হচ্ছে। সেখানে মাত্র ১২০-৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী ছিল। তারপরও এই ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা সবাই মহানগর দক্ষিণ বিএনপির থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। চকবাজার থানা বিএনপির প্রেসিডেন্ট আনোয়ার পারভেজ বাদল হজে আছেন, তার নামেও মামলা দেয়া হয়েছে।

গত বুধবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মতিঝিল থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ওই মামলার আসামি ইশরাক ওই বছরের ১৮ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি জামিন পান তিনি। এরপর ১৮ আগস্ট অসুস্থ থাকায় আশরাক আদালতে হাজির হতে পারেননি। ওই দিন আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিকে, ইশরাককে গ্রেফতারের পর আদালতে নেওয়া হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ইশরাককে প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে সিএমএম আদালত সংলগ্ন রায় সাহেব বাজার মোড়ে তার প্রিজন ভ্যানে হামলা করেন ইশরাক সমর্থকরা, তাকে ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় সংঘর্ষে পুলিশসসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।