আত্মহত্যাই প্রমাণ করে কৃষকরা কেমন আছেন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘটু গ্রামের অসহায় কৃষক অভিনাথ মার্ডি ও তার চাচাতো ভাই রবি মার্ডি কীটনাশক পানে আত্মহত্যার মধ্যেই হয়তো মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন। সরকারি সেচ ব্যবস্থাপনার এমন করুণ চিত্রেই স্পষ্ট হয় প্রকৃতপক্ষে কেমন আছে এদেশের আজন্ম শোষিত-বঞ্চিত কৃষককূল।

শনিবার (২৬ মার্চ) জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ এক বিবৃতিতে সেচের অভাবে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে তারা বলেন, দরিদ্র কৃষকরা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে, প্রাণান্ত খেটে বরেন্দ্র লাল মাটিতে সোনালী ফসল ফলায়। অথচ সেচের জন্য বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও প্রয়োজনীয় পানি পায় না। মাঠ ফেটে চৌচির, ঘাম ঝরানো ফসল নষ্ট হওয়ায় বাঁচার শেষ আশাটুকুও নিভে যায়।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ আর্থসামাজিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। এমনকি সেচ প্রকল্পের পানিবন্টনেও বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি চলছে। নিহত কৃষকরা সেই অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির শিকার। তারা অবিলম্বে সেচ, বীজ, সার, কৃষিযন্ত্রপাতি, ঋণের সহজলভ্যতা ও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করে এদেশের প্রাণশক্তি কৃষকদের রক্ষা করার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাশের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা শনিবার (২৬ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি প্রান্তিক মানুষদের বঞ্চনা ও ভোগান্তির বিষয়ে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।