সংলাপে খেলাফতের ৭ দফা এবং গণতন্ত্রী পার্টির ১ দফা দাবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংলাপে খেলাফতের ৭ দফা এবং গণতন্ত্রী পার্টির ১ দফা দাবি

সংলাপে খেলাফতের ৭ দফা এবং গণতন্ত্রী পার্টির ১ দফা দাবি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৭ দফা এবং গণতন্ত্রী পার্টি ১ দফা দাবি পেশ করেছেন।

সোমবার (০৩ জানুয়ারি)  সন্ধ্যায় ৬টায় সংলাপে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে যান। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ-এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে যান।

বিজ্ঞাপন

সংলাপ শেষে গণতন্ত্রী পার্টির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের জানান, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে আইনের কথা বলে আছে সেই আইন অনুযায়ী একটি বিধি-বিধান তৈরি করার জন্য তারা প্রস্তাব করেছেন। যদি তা করা না হয় তাহলে কী করতে হবে সে বিষয়ে তারা বিশেষ কাউন্সিল গঠনের কথা বলেছেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যার্টনি জেনারেলকে নিয়ে একটি বিশেষ কাউন্সিল গঠন করা যেতে পারে। সার্চ কমিটি ৫টি করে নাম প্রস্তাব করবে কাউন্সিলের কাছে সেই কাউন্সিলের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনারদের নাম সংক্ষেপ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিবেন।

তারা জানান, রাষ্ট্রপতি আমাদের বক্তব্য শুনেছে এবং আমাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে ভাববেন।

অন্যদিকে সংলাপ শেষে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন জানান, তারা ৭টি প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রথম, সকল দলের ঐক্যমতো ভিত্তিতে একটি স্থায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সৎ নিষ্ঠাবান, নির্দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। তিন, নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। চার, বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশও যেন বাস্তবিক অর্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হয়। পাঁচ, ধর্মবিদ্বেষী, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, কালোটাকার মালিক, অবৈধ সম্পত্তি বৈধকারী, খুনি-সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এবং ঋণখেলাপির সঙ্গে যুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সেই সাথে সাথে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে মাদকাশক্ত ব্যক্তিদেরও। নির্বাচনে পাস করার পরও যদি মেডিকেল টেস্টে মাদকদ্রব্য গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায় তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করতে হবে। ছয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সকল দলে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখা বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে যা অনেক নারীদের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক রাজনীতিতে আসার এক নির্দেশনা যা ইসলামী দলগুলোর পক্ষে ফুলফিল করা কঠিন। এটা বাধ্যবাধকতা না করে ঐচ্ছিক করার ব্যাপারে সুপারিশ করেছি।

রাষ্ট্রপতি আমাদের কথা শুনেছেন। রাষ্ট্রপতি নবীণ ও প্রবীণের সম্মিলনে নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের প্রস্তাবের খুব প্রসংশা করেছেন।