নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা চায় জাসদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গভবনে জাসদের প্রতিনিধিদল

বঙ্গভবনে জাসদের প্রতিনিধিদল

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভূমিকা চেয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে পাঁচ বছর পর পর একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এ অবস্থা থেকে যেন স্থায়ী একটি সমাধান পাওয়া যায়, তার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ভবিষ্যতে আইনি কাঠামো করতে রাষ্ট্রপতি যেন সরকারকে দিকনির্দেশনা দেন, আমরা সে কথা বলেছি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ক সংলাপে অংশ নেওয়ার পর বঙ্গভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জাসদ সভাপতি বলেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়ােগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর এককভাবে অর্পিত হলেও নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলাের মতামত গ্রহণের জন্য দলগুলাের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলােচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির এ মহানুভবতা ও উদার উদ্যোগকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সাধুবাদ জানায়।

ইনু বলেন, সংবিধানে নির্বাচন কশিমন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া থাকলেও দুর্ভাগ্যক্রমে এখনও পর্যন্ত সে আইন প্রণীত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দল জাসদ মনে করে যে তুলনামূলকভাবে যথােপযুক্ত দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সার্চ কমিটি গঠন একটি গ্রহণযােগ্য প্রক্রিয়া।আমরা আশা করি যে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে যথােপযুক্ত দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ােগ প্রদান করবেন।

তিনি বলেন, জাসদ মনে করে যে সার্চ কমিটি গঠনে ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়। আমরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সার্চ কমিটির সদস্য মনােনয়ন দেওয়া সমীচীন মনে করি।

আইন প্রণয়নের দায়িত্ব সংসদের— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাসদ সভাপতি বলেন, আইন সংসদকেই করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক। সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন সরকারই করবে, সংসদই করবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি যেন সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সরকারকে পরামর্শ দেন, আমরা সেটিই বলেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। এ বিষয়ে সংবিধানে আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ সেই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রসঙ্গ এলেই বিব্রত হতে হয়। সব মহলকে বিব্রত হওয়ার হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্যই আমরা রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা চেয়েছি।

উল্লেখ্য,নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেওয়া দ্বিতীয় দল হচ্ছে জাসদ। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করে।