‘সারাদেশেই ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশেই শর্তহীন ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রদের হাফ ভাড়ার আন্দোলন যৌক্তিক, ছাত্রদের হাফ ভাড়ার দাবিতে কোন শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাপার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশিষ্ট আইনবিদ ব্যারিস্টার খাজা তানভির আহমেদের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগ দেন।

জিএম কাদের বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষ রাজধানীর সড়কে আটকে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু কারো যেনো কিছুই করার নেই। সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। তেলের দাম বাড়ার পর থেকে সরকারের সাথে আলোচনায় যে হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, শ্রমিকরা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করছে। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেয় সিএনজি চালিত বাসেও। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করে পথে নামিয়ে দিচ্ছে শ্রমিকরা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা এক শ্রেণির নেতার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ না দেখে পরিবহন মালিকদের সাথে আঁতাত করে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার জনগণের পক্ষে কাজ করছে না, সাধারণ মানুষ মনে করছে সরকারও পরিবহন মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

সড়ক পথের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্বার্থের রাজনীতি করে না, জাতীয় পার্টি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষের সাথে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করতে পারেনি। দেশের মানুষ বলতে শুরু করেছে, এরশাদের আমলেই তারা ভালো ছিলেন। তারা জাতীয় পার্টিকেই আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, তিনশো আসনেই প্রার্থী দিতে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। তাই সাধারণ মানুষের সাথে যাদের সম্পর্ক ভালো তারাই জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জোটের কথা ভুলে কাজ করুন, কারো সাথেই জোট হবে না। জাতীয় পার্টি এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যোগদানকারীদের মধ্যে ব্যারিস্টার খাজা তানভির আহমেদ, সামছুল ইসলাম মজুন।

উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, যুগ্ম মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক নুরু, নোয়াখালী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, মো. নজরুল ইসলাম, মোসাদেক্কুর রহমান, মো. আব্দুল হাকিম, কবির উদ্দিন সেন্টু।