বিএনপিকে সরকারের ষড়যন্ত্রে পা না দেওয়ার আহ্বান সাকির

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

জিয়াউর রহমানের কবর ও মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্রে পা না দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৩ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল এমএজি ওসমানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। ভাসানী অনুসারী পরিষদ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানন্ত্রীর বক্তব্যে সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী কী করে বলতে পারেন। মানুষের মধ্যে নূন্যতম একটা ব্যাপার থাকে। কোনটা সমুচিত। একজন মৃত মানুষ কবরে আছেন কিনা এটা নিয়ে কথা বলাই তো অসামাজিক। কোন কথা বলা যায় এটাও তো একটা ব্যাপার আছে। বিএনপিকে ওনি কবরে ঢুকিয়ে দিতে চান।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে নির্বাচন সংক্রান্ত গণতন্ত্রের বিষয়টা আবার সামনে চলে আসবে। বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, বড় রাজনৈতিক দল, কাজেই তাকে এখন জিয়াউর রহমানের কবরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। জিয়াউর রহমান গুলি ছুড়েছিলেন কিনা, এইটাই এখন বিএনপির বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এই রকম একটা জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি।

বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কবরে আছেন কিনা বা উনি গুলি ছুড়েছেন কিনা এই তর্কের মধ্যে আপনারা প্রবেশ করবেন না। আপনারা সামনের দিকে তাকান। সামনের নির্বাচনে যাতে কেউ ভোট চুরি করতে না পারে তার প্রস্তুতি নেন। সরকারে ষড়যন্ত্রে পা দিয়েন না।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সাকি বলেন, যে খেলাটা আপনি খেলছেন এটা খুবই আত্মঘাতী খেলা। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় নেতা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। জিয়াউর রহমান ঘোষণাটা পাঠ করেছেন ৷ ঘোষণা দিয়েছেন সেটা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামেই দিয়েছেন, তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা করেই দিয়েছেন। কিন্তু আপনার জিয়াউর রহমানের ঘোষণার কোনো গুরুত্ব দিবেন না। অথচ এটা সকলেই জানে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা সে সময়ে সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয়েছিলেন এবং মানুষকে একটা আশা দিয়েছিল যে প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে।