একক নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে সরকার
চট্টগ্রাম: সরকার সব দলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা বললেও নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গায়েবি মামলা দিয়ে ৫ জানুয়ারির মতো একক নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর দলীয় নাসিমন ভবন কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘বিনাভোটে সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন, মামলা, হামলার পর এখন নতুন কৌশল হিসেবে গায়েবি মামলার পথ বেঁছে নিয়েছে। মন্ত্রী এমপিদের দুর্নীতি ও লুটপাট প্রকাশ না হওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত জামিন দেয়া সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশে খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে।’
পাঁচ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা হচ্ছে জানিয়ে শাহাদাত বলেন,‘সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার জন্য বিদেশে অবস্থানরত, হজ পালনরত, প্যারালাইসিস, মৃত ব্যক্তি, পেশাজীবীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে রাতের আঁধারে অমানবিক নির্যাতন ও হয়রানি করছে। গত ২০ দিনে চট্টগ্রামে ২০টি নতুন মামলায় শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রামে গত পাঁচ বছরে বিএনপিকে লালদীঘিতে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি দাবি করেন, ‘বহুল আলোচিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানকে ফাঁসাতে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলন থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গায়েবি মামলার প্রতিবাদে আগামী ৪ অক্টোবর নগরীর লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
মামলার বিষয়ে শাহাদাত জানান, গত কয়েকদিনে ১৫১ জনকে নতুনভাবে মামলা দিয়ে জেলে নেওয়া হয়েছে। চকবাজার থানার বিএনপির আহ্বায়ক শেখ সেলিম ২০১৬ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করলেও তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শামিম, সাইফুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।