বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না: জিএম কাদের

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

স্বৈরতন্ত্র আর সুশাসনের অভাবের কারণে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তাতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) জাপার বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এনায়েতুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন দলের অর্ধশত নেতা-কর্মী জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

জিএম কাদের বলেন, নোয়াখালীর বসুরহাটের মত সারাদেশেই অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাই দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন জন্ম দিয়েছে। দেশে নির্ভেজাল গণতন্ত্র জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। বিএনপি ক্ষমতায় বসে দুর্নীতি ও দলীয় করণের মাধ্যমে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, যা এখনো চলছে। তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিদের বৈষম্যের প্রতিবাদে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। এখন ক্ষমতাসীন দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। ক্ষমতাসীনরা টেন্ডারবাজী, দলবাজী, চাঁদাবাজী করে দেশের মানুষের শান্তি হরণ করেছে। ৯১ সালের পর থেকে শুধু লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির টেন্ডারবাজী, দলবাজী, দুর্নীতি, দুঃশাসন, বৈষম্য আর নির্যাতনে স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা ভুলণ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মূল্যায়ন করলে মনে হচ্ছে ৯১ সালের পর থেকে দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পাচ্ছে না। তাই স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে নতুন করে সংগ্রাম শুরু করেছে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশের মানুষ বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। জেলেরা বাজারে মাছ বেঁচতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিতে হয়। রাস্তায় হকাররা দোকান করতে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগকেও চাঁদা দিতে হয়। দেশের মানুষ ভালো নেই। ১৯৯১ সালের পর বিএনপি হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে যে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের চালু করেছিলো, তা গেলো ১২ বছরে আরও সম্প্রসারিত হয়েছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় পার্টি সব চেয়ে সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল, তাই প্রতিদিনই বিশিষ্টজনরা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। জাতীয় পার্টির এগিয়ে চলায় কেউ বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নাজমা আকতার এমপি। উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, মৌলভী ইলিয়াস প্রমুখ।