বুদ্ধিজীবী-শূন্য বিএনপি, 'ডাকলেও অনেকে আসেন না'

  • লুৎফে আলি মহব্বত, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. এম. আসাদুজ্জামান এবং সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ

প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. এম. আসাদুজ্জামান এবং সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ

ক্রমেই বুদ্ধিজীবী-শূন্য হচ্ছে বিএনপি। অতীতের ক্ষমতা থাকার সময় দলের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্তদের এখন 'ডাকলেও অনেকে আসেন না'। আন্দোলন, সংগ্রাম, মিছিল, মিটিং, সেমিনারে দলীয় বুদ্ধিজীবীদের আকাল দেখে হতাশ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, বিএনপির বুদ্ধিজীবীদের নেতৃত্ব দিতেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম. আসাদুজ্জামান এবং সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। তিনজনই এখন প্রয়াত। তাদের শূন্যতা পূরণ করার মতো কাউকে খুঁজে পায়নি দীর্ঘবছর ক্ষমতায় থাকা বড় দল বিএনপি। বরং ক্ষমতাহীন বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচিতে ডাকা হলেও সাড়া দেন না অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কম'কে জানিয়েছে যে, বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের সংখ্যা কম নয়। অতীতে ক্ষমতায় থাকার সময় রাষ্ট্রদূতসহ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ইউজিসি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহু জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের প্রফেসর আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, এসএমএ ফয়েজ, ইউসুফ শরীফ, মোসলেহউদ্দিন তারেক, খলিলুর রহমান অন্যতম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিমউদ্দিন আহমেদ, খোন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, তারেক শামসুর রেহমান, আবদুল লতিফ মাসুম বিভিন্ন পদে নিযুক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের মুহাম্মদ শামসুদ্দীন, হাসান মুহাম্মদ, সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী ছিলেন বিএনপি আমলে সরব।

সূত্র জানায়, তালিকায় আরো অনেকেই আছেন। কিন্তু তারা দলীয় রাজনীতি ও কর্মসূচিতে সরব নন। অনেকে আসতে চান না বা এড়িয়ে চলেন।

কেন এমন হচ্ছে, জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা বার্তা২৪.কম'কে জানান, 'বুদ্ধিজীবী নেতারা তাদের উত্তরাধিকার তৈরি করতে পারেন নি। তদুপরি, আত্মীয়তা, আঞ্চলিকতা ও অর্থের বিনিময়ে অনেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যাদের কোনো রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নেই বলে দলের বিপদে এদের দেখা যাচ্ছে না।'

তবে, এ বক্তব্য অস্বীকার করে বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বার্তা২৪.কম'কে জানায়, 'কৌশলগত কারণে অনেকে না আসলেও ঘরোয়াভাবে সবাই কাজ করছেন। দলীয় প্রচারপত্র তৈরি ও বিভিন্ন গবেষণায় অংশ নিচ্ছেন। সময় মতো সবাই মাঠে নামবেন।'

তবে পরিস্থিতি আসলে যাই হোক, বিএনপির বুদ্ধিজীবীদের মুখ হয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা।