বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শুরুর সময় থেকেই পুলিশ বিনা কারণে উসকানি ও মারমুখী আচরণ করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আওয়ামী পুলিশ বাহিনীর পৈশাচিক এই হামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগরীর উত্তর-দক্ষিণের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, লাঠিপেটা করে অনেকের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রিজভী বলেছেন, দেশে এখন বর্তমান অবৈধ সরকারের আদিম হিংস্রতা শুরু হয়েছে। আজকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যেভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পৈশাচিক হামলা চালানো হলো তাতে আবারো প্রমাণিত হলো-আওয়ামী গুন্ডাশাহীর রাজত্ব কত ভয়ংকর।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকারের ভাবমূর্তি এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, জনগণের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার সিরিজ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আজকের প্রেসক্লাব এলাকা ছিল যেন রক্তমাখা রণক্ষেত্র। দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের ওপর পুলিশ যে হামলা করেছে তা কেবলমাত্র কাপুরুষরাই করতে পারে। ডা. জাহিদ অনেক অনুরোধ করার পরেও পুলিশ তাকে রেহাই দেয়নি, উপর্যপুরি তার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। আজকে পুলিশের আচরণ ছিল উদ্ধত, বেপরোয়া ও সন্ত্রাসী ক্যাডারদের মতো।
তিনি জানান, পুলিশী হামলায় আহত হয়েছেন ১১৯ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং গ্রেফতার করেছে ২১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে।
রিজভী প্রেসক্লাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশী হামলা, নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত ও গ্রেফতার করার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।