দুই মাস পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

প্রায় দুই মাস পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। লাঠি হাতে খুব খুব আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলার নিজের দফতরে বসেন রিজভী।

বিজ্ঞাপন

কুশল বিনিময় করেন অফিস কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তিনি।

হঠাৎ করেই তার অফিসে আসা অফিস কর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কাছাকাছি থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মীরা ছুটে আসে তাদের প্রিয় রিজভীকে দেখতে। মাস্ক পরে রুমে ঢুকে সালাম দেয় তারা। অফিস কর্মীদের সাথে উঠোন বৈঠকের মতো বসে নিজের অসুস্থতার সেই দিনগুলোর স্মৃতি রোমস্থ করতে দেখা যায়।

রিজভী বলেন, এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে। যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনো হিসেব নেই।

প্রতিদিন আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।

তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছে, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন।

সর্বশেষ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নয়া পল্টনে অফিস করেন গত ১২ নভেম্বর। এর পরদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের গাড়িতে উঠার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন রিজভী। গত ২১ নভেম্বর তার হৃদযন্ত্রে এনজিওপ্লাস্টের মাধ্যমে রিং পরানো হয়। চার দিন পর সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরেন।

গত ৩ ডিসেম্বর রিজভীর সহধর্মিণী আরজুমান আরা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা বেগমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বর্তমানে তিনি আরেকটি বাসায় আছেন।

রিজভী জানান, তার সহধর্মিণী ও শ্যালিকা সুস্থ আছেন, তেমন কোনো উপসর্গ নেই। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা।