'পৌর ও উপজেলা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে সরকার'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১০ ও ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে সরকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এমরান সালেহ প্রিন্স।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রিন্স বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মতিউর রহমান ঝালুকে অনৈতিকভাবে চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নায়াত ইউসুফের খাবাসপুরস্থ নির্বাচনী ক্যাম্প রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগের কর্মীরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিরাজগঞ্জের শাহজাতপুর পৌরসভা নির্বাচনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসানকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমকি প্রদান করেছেন। তাকে হত্যা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও বসত ঘর জালিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়।

১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও হয়রানি চলছে।

পাবনার ঈশ্বরদী ও বেড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রচার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং আগের দিন পোষ্টার লাগালে পরের দিনই তা ছিরে প্রকাশ্যে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। প্রচারণার মাইক ও অটো রিকশা ভাংচুর করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে।

বরগুনা জেলার বেতাগী পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রচার প্রচারণায় বের হলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালানো হচ্ছে।

এমরান সালেহ বলেন, ওইসব এলাকায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তাদের নেতাকর্মীরা বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের নামে বিএনপি প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। প্রশাসনকে দিয়ে অন্যায়ভাবে বিএনপির নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে।