সাংবাদিকদের ঐক্যমত থাকা উচিত: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছে তাদের মধ্যে একটা ঐক্যমত থাকা উচিত। সেই ঐক্যমত আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের প্রতীকী অনশনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

কারাবন্দী সাংবাদিকদের মুক্তি ও সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতনের বিচার দাবিতে এ প্রতীকী অনশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

প্রতীকী অনশন পূর্ণ সমর্থন করে গয়েশ্বর বলেন, সাংবাদিকদের তো কোনো রাজনৈতিক দল থাকে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করে না। সাংবাদিকরা কারো ক্ষমতায় থেকে নামানোর লড়াইও করে না। তাদের পেশাগত দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা। যা তিনি দেখেন, যা তিনি শোনেন সেটাই লেখেন।

তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তো অনেককিছু হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখলাম সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে একজন হয়তো পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুরস্কারের মধ্যে যদি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নীরব হয়ে যায় তাহলেতো হত্যাকাণ্ড চলবেই। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে সাংবাদিকরা সরকারের রোষানলে পড়তে চান না বলেই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত হয়েও শনাক্ত হচ্ছে না। জনগণের সামনে প্রকাশ হচ্ছে না। একজন সাংবাদিকের উপরে আঘাত হানলে যদি সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে সরকার আঘাত আনতে ভয় পায়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র নয় হাসিনাতন্ত্র চলছে। হাসিনাতন্ত্রের আদলে দেশ চলছে। এই আদলে দেশ-বিদেশে সাথে বন্ধুত্ব চলছে। সে কারণেই হাসিনাতন্ত্র যদি প্রত্যাহার করতে না পারেন তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। গণতন্ত্রের সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে না। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না সেখানে সকল পেশার মানুষ অধিকারহীন হয়।

গয়েশ্বর আরো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত্রতত্র মামলা হচ্ছে। শুধু আইনের ভাষা নয় দৈহিক নির্যাতন এবং হত্যা-খুনের শিকার হচ্ছেন। একজন সাংবাদিকের প্রতি আরেকজন সাংবাদিকের সহমর্মিতা থাকবে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়তো কারো কারো ভিন্ন মতাদর্শের থাকতে পারে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন প্রমুখ।