বাসে আগুন দেয়ার সঙ্গে বিএনপির যোগসূত্র নাই: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের চরম সংকট চলছে। আমাদের চরম নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। ১/১১ মঈন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগও কাজ করে যাচ্ছে। সেই একই ভাবে মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা নিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার যড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র আন্দোলন কোনো সহজ আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই আন্দোলনে অনেক ত্যাগ আত্মত্যাগের প্রয়োজন হতে পারে।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, তিনি অসুস্থ, তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করেছেন, মিথ্যা মামলার জন্য দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি।

তিনি বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ যেন কথা বলতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে আয়ত্তে এনে বিরাজনীতিকরণে পরিণত করা হয়েছে।

বাসে আগুনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে বা কারা বাসে আগুন দিল। অথচ সেই আগের খেলায় সরকার লিপ্ত। তারা তাদের এজেন্টদের দিয়ে নাশকতা করে বিএনপির উপর দোষ চাপায়, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। আমার একটি অনুরোধ- কেউ এ ধরনের ফাঁদে পা দেবেন না। জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে৷ নাশকতা যারা করছে তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র নাই। তাই এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ফখরুল বলেন, বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী এখন প্রায় ১ লক্ষাধিক মামলার আসামি। ৬০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে৷ সহস্রাধিক নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্যাতিত হয়ে চলেছে। এই অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নাই।

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সাংবাদিক নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।