ভেঙে গেলো গণফোরাম, নতুন অংশের সম্মেলন ২৬ ডিসেম্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভা

মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভা

প্রতিষ্ঠাতার ২৭ বছর পর ভেঙে দুইভাগ হয়ে গেলো ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। বেরিয়ে যাওয়া অংশের নেতৃত্বে দিচ্ছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ ৩ জন নেতা। আর এই অংশটি আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলেরও ঘোষণা করেছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণফোরামের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বরের বর্ধিত সভার সঙ্গে গণফোরামের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। সেই অনুযায়ী আজকের বর্ধিত সভায় তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

আজকের বর্ধিত সভায় গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, বর্ধিত সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গণমুখী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কাউন্সিলকে সফল করার লক্ষ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজকের সভার মধ্যে দিয়ে গণফোরাম নামের আরেকটি দল গঠন করতে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে নতুন দলের বিষয়ে।

ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে তাদের কি সিদ্ধান্ত, তাকে কি দল থেকে বহিষ্কার করা হবে নাকি জানতে চাইলে মন্টু বলেন, আমরা এখনও বিশ্বাস করি, ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আসবেন। বিতর্কিত লোকদের পরিহার করবেন। মাঠের পোড় খাওয়া লোকদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আর তিনি না আসলে তার বহিষ্কারের বিষয়ে আমাদের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নিবো। সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবে, তাদের মতামতের সাপেক্ষে তার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।

গণফোরাম তো বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে আছে। আপনারা কি তাহলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিবো না। সামনে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মিটিং আছে সেখানে সিদ্ধান্ত নিবো।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ এবং জোটে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিলো না। আর আমি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো বলেছিলাম কামাল হোসেনকে। কিন্তু তিনি যেহেতু দলের সভাপতি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নির্দেশে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি তার আদেশ অমান্য করতে পারি না সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। আর সেই নির্বাচন কিভাবে আগের রাতে হয়ে গেছে আপনারা সবাই জানেন।

অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে গণফোরাম জাতীয় ঐক্য চায় বলেও মন্তব্য করেন মন্টু।

আজকের বর্ধিত সভায় গণফোরামের কত জেলার প্রতিনিধি আছে জানতে চাইলে দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের সঙ্গে গণফোরামের ৫২ জেলার ২৮৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।

বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।