মানুষকে মৃত্যুকূপে ফেলে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে সরকার: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

এই সরকার শুধুমাত্র ক্রসফায়ার-গুম-খুনের মধ্য দিয়ে একটা অমানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেনি, তারা সারা দেশের মানুষকে মৃত্যুকূপে ফেলে দেওয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছে।

সোমবার (১০ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খানের রুহের মাগফিরাত কামনায় ছাত্রদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্ট করেন, ফ্লাইওভার করেন টাকা চলে যায় কানাডায়-মালয়েশিয়ায়। আর বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে ধুকে ধুকে মরে সাধারণ মানুষরা। আজ এই করোনার আক্রমণের সময় রাস্তায় ও হাসপাতালের বারান্দায় মানুষ মারা যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে নেগিটিভ করোনা পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন পজিটিভ আর পজিটিভ করোনা পরীক্ষায় বলে দিচ্ছেন নেগেটিভ। এই যে প্রতারণার জাল-জালিয়াতি প্রত্যেকটির সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক আছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সকল অমানবিকতার জন্মদাতা হচ্ছে এই সরকার। আর এই সরকার দিব্যি জনগণকে বাদ দিয়ে, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে, জবাবদিহিতাকে কবরের মধ্যে ঠেলে দিয়ে জোর করে বন্দুক হাতে নিয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। ক্ষমতায় বসে মানুষ করোনায় মরুক, ক্যান্সারে মরুক যা খুশি তা হোক আমার চিকিৎসা ব্যবস্থার দরকার নাই। শুধুমাত্র মেগা প্রজেক্ট বানিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা নির্দ্বিধায় বাহিরে গিয়ে বাড়ি-ঘর বানিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের নীতি।

সারা পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। গোটা বাংলাদেশে আমরা একটি মরণ যজ্ঞের মধ্যে আছি। আমি কয়েকদিন আগে কয়েকটি জেলা সফর করলাম। সেখানে অসুস্থতায় মারা যাওয়া কয়েকটি পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। তারা বলেছে এসব রোগীর হার্টের রোগ ও অন্যান্য রোগ ছিল বটে তবে তারা করোনায় মারা গিয়েছে। যে কয়টি বাসায় গিয়েছি করোনায় আক্রান্ত ছাড়া কেউ মারা যায়নি।

আজকে গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সরকার ভেঙে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব বলেন, মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসা নাই। সেখানে হাসপাতালগুলোতে যাওয়া মানে মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিশ্চিত পকেটে নিয়ে যাওয়া। এর বাহিরে অন্যকিছু নেই।

নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রতীক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন তো একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি, স্বাধীন সত্তা। এখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এক একটি শেয়ার হোল্ডার। আপনি শেখ হাসিনার কথায় দিনের ভোট রাতে করেছেন। ভোটকেন্দ্রে মানুষকে বিতাড়িত করে গরু-ছাগলকে পাঠিয়েছেন। নির্বাচনকে ধ্বংস করার প্রতীক হলো নির্বাচন কমিশন।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চলনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান প্রমুখ।