বিএনপির প্রয়াত দুই নেতার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রয়াত শফিউল বারী বাবু ও বিএনপি'র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল আউয়াল খানের রূহের মাগফেরাত কামনা করে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন' এর উদ্যোগে এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ মো. ইকবালের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব ঊন নবী খান সোহেল বলেন, একজন মানুষ জীবিত থাকলে তাকে ঘিরে অনেক মানুষ থাকে। তারা কিছু পাওয়ার জন্য থাকে নাকি না পাওয়ার জন্য থাকে তা বোঝা যায় না। একজন মানুষ কতটুকু জনপ্রিয় তিনি বেঁচে থাকতে তা অনেক সময় বোঝা যায় না। কিন্তু একজন মানুষ যখন মারা যায়, একজন মানুষ যখন চলে যায়, যখন তার দেওয়ার আর কিছুই থাকে না তখন তাকে ঘিরে মানুষের উপস্থিতি জানান দেয় সে কতটুকু জনপ্রিয় ছিল। করোনার মধ্যে প্রাণের ভয় উপেক্ষা করে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় দেখেছি হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।

দোয়া মাহফিলে বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, শফিউল বারী বাবু ও আব্দুল আউয়াল খান দুজনেই খুব সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তারা দুজনেই কখনোই রাজনৈতিক মাঠে অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি। তারা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শক্তির পরীক্ষিত নেতৃত্ব। খুব অসময়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যা আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাদের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়া যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক কাউসার, সহ সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, আবু আফসান ইয়াহিয়া, মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক, মহানগর উত্তর ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আপেল মাহমুদ।