‘নারীদের অমূল্যায়িত সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ ভবনে ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বী মিয়া

সংসদ ভবনে ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বী মিয়া

নারীর অমূল্যায়িত সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি, হ্রাস ও পুনর্বণ্টন ব্যতীত নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেছেন, নারীদের অমূল্যায়িত সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে এসকেএস ও একশন এইড বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি ও পুনর্বণ্টনে জাতীয় সংসদ-এর করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীবান্ধব রাষ্ট্র চান। তিনি নারীদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলেই উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট পুরস্কার পান। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ শুধু এশিয়াতে নয় পুরো বিশ্বেই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নারীরা যাতে তাদের কাজের স্বীকৃতি পান সে লক্ষ্যে নারী নীতিমালা গ্রহণ করেছেন। একটা সময় ছিলো নারীরা ঘরের বাইরে বের হতো না। বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে নারীদের জোরালো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনার সঙ্গে সঙ্গে নিজ গৃহস্থালির কাজও করেন। নারীদের কাজের মূল্য হিসাব করা হলে দেখা যাবে তা জিডিপির একটি বড় অংশ। নারীর প্রতিদিনের কাজটি যখন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে করানো হয় তখন আমরা বুঝতে পারি তার মূল্য কত। নারীদের গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের ভার লাঘব করে অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত করা সম্ভব হলে দেশের দারিদ্রের হার দ্রুত কমিয়ে আনা এবং বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীতকরণ ও টেকসই উন্নয়ন সহজ হবে।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ। দেশের জন্য মঙ্গলকর এমন কোনো বিষয় তার নজর আসলে সে কাজ করানো থেকে কোনোভাবেই তাকে বিরত রাখা যাবে না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে শুধু নারীদের তথা দেশের জন্য মঙ্গলকর কাজগুলো প্রধানমন্ত্রীর নজরে নিয়ে আসা।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলবো। সংসদে এ বিষয়ক সিদ্ধান্ত প্রস্তাবনা আনা যেতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। যে আইনসমূহে সংশোধন করা প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করা গেলে সেগুলো নিয়েও কাজ করা যাবে। এছাড়াও এ ধরনের বৈঠক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।