'পিতার ফাঁসির আদেশ দিয়ে সন্তানকে জল্লাদের দায়িত্ব'

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদে মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি’র সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক মহাসচিব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর অসাংবিধানিকভাবে অপসারণ নিয়ে সংসদে তার পুত্র বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংসদে ক্ষোভ ঝাড়েন।

তিনি বলেন, '২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হঠাৎ করেই মাত্র সাত মাসের মাথায় একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কবর জিয়ারত না করার অপরাধে অসাংবিধানিকভাবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়।'

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

বক্তব্যের শেষে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ সবাই তাকে প্রশংসা করেন। এমনকি আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যরা তাকে দুই দফা সময় বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্পিকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা করে মাহী বি চৌধুরী বলেন, 'সেই সময় ১৮ ও ১৯ জুন বিএনপি’র সংসদীয় দলের সভায় ৭ ঘণ্টার আলোচনা শেষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে বললেন তুমি বিএনপি’র সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তোমাকে একটি বড় গুরুদায়িত্ব প্রদান করছি। সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানানো এবং রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ গ্রহণ করার দায়িত্ব বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমাকে দেয়া হলো। আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলাম।'

তিনি স্পিকারের উদ্দেশ্য করে সেদিনকার ঘটনার বর্ণনা করে বলেন, 'আপনি একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে ফাঁসির আদেশ দিলেন, তারপর তার সন্তানকে জল্লাদের দায়িত্ব দিলেন। এটি নিষ্ঠুর রাজনীতি। বিএনপি যে নিষ্ঠুরতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আগামীতে পর্যালোচনার জন্য রেকর্ড থাকুক সেজন্য বললাম।'