রাজবাড়ী জেলাকে বলা হয় রেলের শহর। এমন এক সময় ছিল এই জেলার মানুষের ঘুম ভাঙত ট্রেনের শব্দে। সময়ের আবর্তনে অনেকটাই ভাটা পড়েছে রাজবাড়ীর রেলওয়ের স্টেশনগুলোতে। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়াতে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই জেলার অনেকগুলো স্টেশন। তারমধ্যে রয়েছে ১৮৭১ সালে চালু হওয়া রাজবাড়ীর পাংশা রেলওয়ে স্টেশনটি।
আশার কথা হলো দীর্ঘদিন পর হলেও অবশেষে আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে প্রাচীনতম ঐতিহ্যবহনকারী পাংশা রেলওয়ে স্টেশনটি। আধুনিকায়নের কাজটি শেষ হলে অনেকটাই প্রাণ ফিরে পাবে স্টেশনটির। আধুনিকায়নের কাজ শুরু হওয়ায় অত্যন্ত খুশি যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন- এই আধুনিকায়নের ফলে যাত্রীদের সেবার মান বাড়বে আরও কয়েকগুণ।
জানা যায়, পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে। স্টেশনের ১নং প্লাটফর্মের পূর্ব দিকে ৪৭০ ফুট বর্ধিতকরণের রিটেইনিং ওয়ালের বেইজ ঢালাইকরণের মধ্য দিয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমানভাবে শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় রিটেইনিং ওয়ালের বেইজ ঢালাই শুরু হয়। রাজবাড়ী রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহাগ রানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজের মনিটরিং করছেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহাগ রানা বলেন, ডিজাইন মোতাবেক পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ চলছে। প্রথমে ১নং প্লাটফর্মের পূর্ব দিকে ৪৭০ফুট বর্ধিতকরণ করা হচ্ছে। এরপর নতুন করে ২নং প্লাটফর্ম নির্মাণ করা হবে। নতুন ২নং প্লাটফর্ম হবে ১হাজার ২১৫ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। এছাড়া ১নং প্লাটফর্মের আরও উন্নয়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ চলবে।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ করছে। শতভাগ কোয়ালিটি মেইনটেন করে নির্মাণ কাজ চলছে এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।