আদালতে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আব্দুল মাজেদ/ছবি: সংগৃহীত

আব্দুল মাজেদ/ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) ১২টা ১৫ মিনিটে আব্দুল মাজেদকে হাজতখানায় রাখা হয়েছে বলে হাজতখানার ওসি আব্দুল মোতালেব বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঢাকার সিএমএম এএম জুফিকার হায়াতের আদালতে মামলার শুনানি হবে। তবে তাকে আদালতে তোলা হবে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস দমন বিষয়ক পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) একটি দল, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ইতোমধ্যেই তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হলেন ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। পলাতক অন্য পাঁচ খুনি হলেন আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী। মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদ কোন দেশে অবস্থান করছেন তার সঠিক তথ্য পুলিশের কাছে নেই।

২০০৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে এসব আসামিদের বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করে বাংলাদেশের পুলিশ।

এছাড়া আইনি প্রক্রিয়াশেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেপ্তার