ভেন্টিলেটরের প্যাটেন্ট-ডিজাইন হস্তান্তর করেছে মেডিট্রনিক্স

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, বিশ্বখ্যাত মেডিক্যাল ডিভাইস কোম্পানি মেডিট্রনিক্স তাদের পিবি-৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটরের প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সোর্স কোড বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্যাটেন্ট- ডিজাইন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান পলক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কাল এই সব নিয়ে মেডিট্রনিক্সের হায়দ্রাবাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের সঙ্গে আমাদের প্রযুক্তি কোম্পানিকে নিয়ে বসবো। ওদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই বুঝতে পারবো কতো দিনে আমরা বাংলাদেশে ভেন্টিলেটর উৎপাদনে যেতে পারবো।

এর আগে সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে পলক বলেছিলেন, বুধবারের মধ্যে মেডিট্রনিক্স তাদের প্যাটেন্ট এবং ডিজাইন হস্তান্তর করবে।

পলক বলেন, মেডিট্রনিক্স এর সাবেক চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী ওমর ইশরাক বাংলাদেশের সন্তান যিনি এখন প্রসেসর কোম্পানি ইন্টেলের প্রধান, মূলত তার কারণেই বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি পেয়ে গেল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ওয়ালটন ভেন্টিলেটর উৎপাদনের জন্যে খুবই আগ্রহী। তাছাড়া আরএফএলসহ আরও কয়েকটি কোম্পানিরও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।

বর্তমানে চীন থেকে একটি ভেন্টিলেটর আমদানি করতে অন্তত সাত লাখ টাকা লাগে। ইউরোপ থেকে আনতে লাগে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। তবে বাংলাদেশে এটি উৎপাদন করা গেলে এর মূল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে হবে বলে জানিয়েছেন, আইসিটি বিভাগের এক কর্মকর্তা।

তবে একাজে অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যাবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।

ভেন্টিলেটর হল এমন একটি যন্ত্র যা শ্বাসকষ্টের রোগীদের বিকল্প পন্থায় শ্বাস প্রশ্বাস চালু রাখা যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুস অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে অনেকই মারা যাচ্ছেন।

শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই এখন ভেন্টিলেটরের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু সেই তুলনায় ভেন্টিলেটরের যোগান রয়েছে খুবই কম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মাত্র এক হাজারের মতো মতো ভেন্টিলেটর আছে। আর অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে ভেন্টিলেটর আমদানির কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে বাঁচানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

করোনা ভাইরাসের এই বৈশ্বিক সংক্রমণের কারণে মেডিট্রনিক্স তাদের সোর্সকোড ওপেন করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক দেশই তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিচ্ছে।

তবে ওমর ইশরাক যেহেতু বাংলাদেশের সন্তান সে কারণে বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে বাড়তি কিছু সহযোগিতা পাচ্ছে। মেডিট্রনিক্সের কাছ থেকেই প্রযুক্তি নিয়ে বর্তমানে ভেন্টিলেটর উৎপাদনে গেছে, ফোর্ডের মতো গাড়ি কোম্পানি।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটনের কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, তারা এই ভেন্টিলেটর উৎপাদনের জন্যে খুবই আগ্রহী এবং তারা আনন্দের সঙ্গে কাজটি করবেন।

এ বিষয়ে তাদের যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।