জীবাণুনাশক ছিটানো দেখতে রাস্তায় মন্ত্রী-মেয়র

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জীবাণুনাশক ছিটানো দেখতে রাস্তায় মন্ত্রী-মেয়র

জীবাণুনাশক ছিটানো দেখতে রাস্তায় মন্ত্রী-মেয়র

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে রাস্তায় রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গত কয়েক দিন ধরেই ডিএনসিসি’র বিভিন্ন এলাকায় ওয়াটার বাউজার যন্ত্রের মাধ্যমে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি যেখানে মানুষের চলাফেরা সেখানেই ছিটানো হচ্ছে এই জীবাণুনাশক।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা। এদিক সকাল সাড়ে ১১টায় মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশের প্রধান সড়ক থেকে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন
রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আইসোলেশন। আমরা যদি আইসোলেশন করতে পারি তাহলে একজন করোনাভাইরাস বাহক থেকে অন্য জনের মাঝে ছড়াবে না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে আছি।

তিনি বলেন, আমাদের মেম্বর, চেয়ারম্যান, পৌর সভার মেয়র, সিটি করপোরেশনের মেয়র তারা প্রত্যেকেই জনগণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। তাই মেম্বর, চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রদের নেতৃত্বে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা স্ব স্ব এলাকায় প্রবাসী ফেরত ভাই-বোনদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করণের কাজ করছে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকে ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইউনিসেফ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক হাত ধোয়ার সরঞ্জামাদি কেনার জন্য ২ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা মাঠে থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।

রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এই কার্যক্রম পুরো শহরে চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শুধু সড়কে নয় রাস্তার পাশে যে সকল ভবন রয়েছে সেসব ভবনের দেওয়ালেও ছিটানো হচ্ছে এই জীবাণুনাশক।

তিনি বলেন, যে সকল জায়গায় ওয়াটার বাউজার গাড়ি যাবে না সেখানে হ্যান্ড স্প্রে করা হবে। এজন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রমে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। আগামীকাল শুক্রবার একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০ হাজার পিস সাবান পাবেন বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বস্তিতে বিতরণ করবো। তিনি সবাইকে একাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সাবান, ব্লিচিং পাউডার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুদ না করতে নগরবাসীকে আহ্বান জানান।