করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন যেভাবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা যাওয়ার পর দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দেওয়া নির্দেশনার আলোকে। তবে ধর্মের বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া রোগীর দাফনের সময় আমাদের প্রটোকল থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও ইরানে যেভাবে দাফন করা হয়েছে সেই সব বিবেচনা করে আমাদের দেশের রোগীদের দাফন করা হবে। আমাদের ধর্মীয় দিকটাও বিবেচনায় থাকবে। আমরা দুই একদিনের মধ্যে দাফনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।

এর আগে, আইইডিসিআর এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছিলেন, নিজেদের ব্যবস্থাপনায় মৃত ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করা হবে। মরদেহ আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্যাকেট করে দেবেন এবং পরিবহনের ব্যবস্থাও করবেন। মৃত ব্যক্তির মরদেহ প্যাকেট করার আগে আমরাই ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী গোসল করিয়ে দেব। এরপর কাফনের কাপড় পরিয়ে প্যাকেট করা হবে। সেই প্যাকেট কোনো অবস্থাতেই কেউ খুলতে পারবে না। প্যাকেট খুলে আত্মীয়-স্বজনদের মরদেহের মুখ দেখার সুযোগ নেই।’

ইরানেও মুসলিম ধর্মের বিধান অনুযায়ী করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মারা যাওয়া রোগীর মরদেহ ভালোভাবে মুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা জানান, এ নিয়ে মোট ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মাঝে একজন মহিলা (৩০), পুরুষ (৩০) ও বয়স্ক পুরুষ (৭০)। তিনি আইসিইউতে আছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ। পুরুষ একজন ইউরোপ দেশ ভ্রমণ করেছেন। বয়স্ক একজন প্রবাসী থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। আর যিনি নারী উনিও যোগাযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছেন অবশ্যই ১৪ দিন ঘরে অবস্থান করবেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। খাবারটাও ঘরে বসে খাবেন। তাদের ব্যবহার করা জিনিস আলাদাভাবে পরিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে এসব জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। এরপরেও এসব পরামর্শ না মানলে সরকার আরো কঠোর হবে। ইতোমধ্যে জরিমানা করা হচ্ছে সারাদেশে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, পোস্টার ও লিফলেট দিয়ে আমরা প্রচার করছি। তারপরও বলছি একটি টিস্যু পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। হাঁচি-কাশির পর সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সামন্য জ্বর বোধ করলেও ঘরে থাকবেন। জরুরি প্রয়োজন হলে মাস্ক পরে যাবেন।