‘করোনা রোগী বেশি হলে আলাদা হাসপাতাল করা হবে’

  করোনা ভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করছেন আইইডিসিআর'র পরিচালক ডা. সেব্রিনা মীরজাদী ফ্লোরা,ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করছেন আইইডিসিআর'র পরিচালক ডা. সেব্রিনা মীরজাদী ফ্লোরা,ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া করোনার চিকিৎসার জন্য রাজধানীসহ জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতেও আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। তবে দেশে কোথাও যদি করোনা রোগী বেশি পাওয়া যায় তবে সেখানে আলাদা হাসপাতাল করা হবে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) অডিটোরিয়ামে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা তিনি বলেন, 'চীনের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। চীনের বাইরে আরো নতুন নতুন দেশে আক্রান্ত হচ্ছে। তার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইতালির সার্বিক অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক। এসব বিষয় নিয়ে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি'।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে আশা ১৫৬টি কলের মধ্যে তিনটি কল ছিল করোনা সংক্রান্ত। এই তিনজনসহ দেশে সর্বমোট ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি তাদের কারও মধ্যেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়। সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে ২ জন এখনও হাসপাতালে আছেন। ইতালিতে বাংলাদেশের একজন আক্রান্ত হয়েছেন তাকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে'।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি তুলে ধরে পরিচালক বলেন, চীনসহ ৭৭টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩০৯০। এদের মধ্যে চীনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৪২২।

গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন শুধু চীনের জনগণকে বাংলাদেশের বিমানবন্দর স্ক্রিনিং করা হচ্ছে এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, প্রথমে যখন বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং শুরু হয় তখন কেবল চীনা নাগরিকদের করা হয়েছে। তবে তার কিছুদিন পর থেকেই সকল দেশের নাগরিককে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের লিখিত বক্তব্য চীনা অ্যাম্বাসিতে আমরা পাঠাবো।

এ সময় তিনি আরো বলেন, কুয়েত অ্যাম্বাসিসহ বিভিন্ন অ্যাম্বাসি বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে ভ্রমণ করতে চান তাদের করোনাভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের এখানে পাঠাচ্ছেন। আমাদের এখানে যাদের শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের লক্ষণ এবং উপসর্গ আছে তাদেরই পরীক্ষা করা হবে। এর বাইরে কাউকেও করোনাভাইরাস'র পরীক্ষা করা হলে করোনার উপস্থিতি মিলবে না। আর আমাদের এখান থেকে এই ধরনের কোনো সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় না।

আরও পড়ুন- ১০২ জনকে পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি: আইইডিসিআর