১০২ জনকে পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি: আইইডিসিআর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করছেন আইইডিসিআর'র পরিচালক ডা. সেব্রিনা মীরজাদী ফ্লোরা, ছবি: সুমন শেখ

করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করছেন আইইডিসিআর'র পরিচালক ডা. সেব্রিনা মীরজাদী ফ্লোরা, ছবি: সুমন শেখ

দেশে এখন পর্যন্ত ১০২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

বুধবার (৪ মার্চ) আইইডিসিআর এর অডিটোরিয়ামে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ১০২ জনকে করোনাভাইরাস সন্দেহে পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে এখন ৪ জনকে করোনাভাইরাস সন্দেহে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন বিদেশি রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ইতালিতে অবস্থানরত এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি খুব বেশি অসুস্থ না হওয়ায় তাকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চীনসহ ৭৩ দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৮৭০জন। এদের মধ্যে চীনেই আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৩০৪জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৩০ জন। মারা গেছেন ৩১ জন।

এ সময় করমর্দন বা হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন আইইডিসিআর পরিচালক। তিনি জানান, হাঁচি-কাশি থেকে ভাইরাস ছড়ায়। তাই করমর্দন ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা ফল বা সবজি থেকেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যদি ফল বা সবজির সামনে হাঁচি বা কাশি দেয় সেখানে ৬-৭ ঘণ্টা ভাইরাসটি একটিভ থাকে। পরবর্তীতে ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে না। তাই এ বিষয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারাদেশে ৩ স্তরের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর বাইরে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

এ সময় ডা. সেব্রিনা বলেন, বিশ্বের সব দেশই উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। যার মধ্যে বাংলাদেশও বাদ পড়ে না। তবে বর্তমানে চীনসহ ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এ চারটি দেশ বেশি ঝুঁকিতে আছে।

তিনি জানান, চীনের তুলনায় অন্যান্য দেশে নতুন করে এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সিঙ্গাপুরের অবস্থা অপরিবর্তিত আছে।