মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার বিব্রত নয়: কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিহত করার এই ঘোষণায় সরকার মোটেও বিব্রত নয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, উচিত হচ্ছে না। তাদের স্বাগত জানানো উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (০২ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এনআরসি সমস্যা সমাধানের কোন আশ্বাস পাওয়া গেল কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ইতোমধ্যেই কিছু বলেছেন। তিনি তো কিছু বাদ রাখেননি, সব কথাই বলেছেন। তিনি (নরেন্দ্র মোদি) আসছেন একটা উপলক্ষ নিয়ে, সেটা হলো মুজিব বর্ষ। আমাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্র সচিব তো অনেক দিন আমাদের এখানে হাইকমিশনার ছিলেন। তখন আমাদের রোড়স অ্যান্ড ব্রিজেস’র বিভিন্ন প্রকল্প আছে ভারতের, সেগুলো নিয়ে প্রায় আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হতো। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে আমার একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে তিনি এই সংক্ষিপ্ত সফরেও আমার সঙ্গে তার সাক্ষাতের একটি কর্মসূচি রেখেছেন।

তিনি বলেন, সমস্যা নিয়ে তো উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবেই, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। কাজেই আলোচনাটা কী হবে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে আমাদের যে সম্পর্ক এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরো কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুণছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি আছে। ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় আরো অগ্রগতি হবে। কাজেই সম্পর্ক যখন আছে এই সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে, শক্তিশালী হবে। এটিই আমরা আশা করি। এই সফর ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে ও নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।