‘অর্থ পাচারকারীদের নাম প্রকাশ করলে পরিচিত মুখও দেখা যাবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন রাশেদ খান মেনন, ছবি: বার্তা২৪.কম

জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন রাশেদ খান মেনন, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘দেশের টাকা যারা দেদারসে বিদেশে পাচার করছে, তাদের নামের তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করুন। তাহলে অনেক পরিচিত মুখও দেখতে পাবেন।’

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে দলের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মেনন বলেন, ‘২০১৪ সালে ৭৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। ২০২০ সালে এসে পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকারও উপরে। পাকিস্তান আমলে যে টাকা আইয়ুব খানরা নিয়ে গেছে, গেল কয়েক বছর তার চাইতেও বেশি টাকা পাচার হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বড় বড় কথা বলে কিন্তু ব্যাংক লুটেরাদের ধরে না। ১১০ কোটি টাকা দিয়ে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাড়ি কেনেন। দুদকও সেসব কথা বলতে রাজি হয় না। যখন কেউ ধরা পড়ে, বুলি আওড়ানো হয়- দল কোনো দায় নেবে না। বনে পশু পুষবেন, দাপিয়ে বেড়াবে। নিয়ন্ত্রণ করবেন না, ধরা পড়লে তার দায়ও নেবেন না। দায়টা নেবে কে?।’

বিজ্ঞাপন
জনসভায় ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘৭৪ সালে আমাদের ছিল চারজন কোটিপতি। আর এখন আমাদের কোটিপতির সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার। তাদের জীবনযাপন, তাদের আয়েশ, তাদের বিলাস বাংলাদেশের বেকার যুবকদের হতাশ করে।’

তিনি বলেন, ‘সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ২১ দফা দাবি আমরা দিয়েছি। আমাদের দাবি যদি না মানেন, রাজপথে লড়াইয়ের মাধ্যমে তা আদায় করব।’

জনসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভেতরে উইপোকা ঢুকেছে। দেশে রাজনীতি করে এখন বাড়িতে টাকার গুদাম তৈরি করা যায়। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বলা হয়েছিল। সেই জিরো নীতি কোথায় গেল?।’

রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, মাহমুদুল ইসলাম মানিক ও কামরুল আহসান।